সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) ব্যবহার। ছোট-বড় যেকোনও ঘটনাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। ঠিক কোন জিনিসটি যে ভাইরাল হবে, তা সাধারণত কেউ বুঝতে পারেন না। গত বছর লকডাউনে যেমন ‘বিনোদ’ কথাটি ভাইরাল হয়েছিল। এবছর করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাল হল- ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলী ফার্নিচার’। যা নিয়ে বুধবার সরগরম রইল সোশ্যাল মিডিয়া। সুরকার জয় সরকার থেকে শুরু করে ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, এমনকী স্যান্ডি সাহাও এই কাকলি ফার্নিচার নিয়ে চলতে থাকা মিম নিয়ে পোস্ট করেছেন।
আসলে বাংলাদেশের গাজিপুরের একটি ফার্নিচার বা ঘরের আসবাবপত্র বিক্রির দোকান এই ‘কাকলী ফার্নিচার’। ওই দোকানটির ফেসবুক পেজ থেকেই পোস্ট করা হয় ভিডিও বিজ্ঞাপনটি। সেখানে দুটি ফুটফুটে শিশুকে দেখা যাচ্ছে। তারা কখনও দোকানের সোফার গদিতে লাফাচ্ছে। আবার কখনও বা আরামাকেদারায় দোল খাচ্ছে। আর ভিডিওর শুরু থেকে শেষপর্যন্ত বাজছে একটি ভয়েস ওভার। সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলী ফার্নিচার।’ দুই শিশুর একসঙ্গে বিজ্ঞাপনের এই ভয়েস ওভারের ধরনেই বেজায় মজা পেয়েছেন নেটিজেনরা। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই কাকলি ফার্নিচার।
বিয়ের বাসর থেকে ফুলশয্যা, এমনকি শবদেহ বহনের জন্যও ‘কাকলী ফার্নিচার’-এর খাটই যথার্থ বলে মজা করেন নেটিজেনরা। হাসির রোল ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। কেউ লেখেন, ‘হাড় ভাঙলেও কাকলি ফার্নিচারের খাট ভাঙবে না।’ কেউ বলছেন বন্ধুর বিয়ের ফুলশয্যায় ‘কাকলী ফার্নিচার’-এর খাট উপহার দেওয়ার কথা। কখনও এই সংস্থার খাটে বসতে দেখা গিয়েছে শাহরুখ খানকে। আবার কখনও পর্নস্টার জনি সিন্সকেও। এই বিষয়টি নিয়ে মজা করেছেন স্যান্ডি সাহা, সুরকার জয় সরকার, ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও। যদিও এই সমস্ত মিমকে ‘কাকলী ফার্নিচার’ নামে ওই দোকানটি। তাঁদের তরফে এই বিষয়ে বিরূপ কোনও মন্তব্যও করা হয়নি। বরং সংস্থার নাম যে প্রচার হয়েছে, তাঁর জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.