সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগে বোলপুরের এক মাছ বিক্রেতা রাতারাতি কোটিপতি হন। নেপথ্যে জ্যাকপট, লটারি (Lottery)। তবে আচমকা ভাগ্যবদলের চাপ সামলাতে পারেননি তিনি। সুখবর পাওয়ামাত্র জ্ঞান হারান। লটারি জিতে অনেকে পুলিশের দ্বারস্থও হন। স্রেফ আতঙ্কে। এমন মানসিক চাপের পাশাপাশি কোটি টাকা হেলায় নষ্ট করার উদাহরণও রয়েছে। এমন সব কাণ্ড ঠেকাতে উদ্যোগ নিল কেরল রাজ্য লটারি দপ্তর (Kerala State Lotteries Department)। তাঁরা জ্যাকপট বিজেতাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ তথা পরামর্শ শিবিরের আয়োজন করল। এই ঘটনা ভূভারতে প্রথমবার।
বুধবার ছিল কেরল রাজ্য লটারি দপ্তরে সেই বিশেষ শিবির। যেখানে অংশগ্রহণ করেন গত বছর আগস্ট মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস অবধি লটারি বিজেতারা। শিবিরে ফিক্সড ডিপোসিট, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়। এইসঙ্গে মনোবিদ লটারি জেতা ব্যক্তিদের পরামর্শ দেন, কীভাবে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
কেরল রাজ্য লটারি দপ্তরের পরিচালক আব্রাহাল রেন এস বলেন, “অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ীদের কাছে যখন বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে আসে, তখন অনেকই বুঝে উঠতে পারেন না, এই টাকা দিয়ে কী করবেন। সাধারণত বিজয়ীরা আর্থিকভাবে শিক্ষিত হন না। আমাদের কাছে খবর আছে, অনেকেই পুরো টাকা কিছুদিনের মধ্যে নষ্ট করে ফেলেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হল মানুষের ভাগ্যকে সঠিক পথে পরিচালনা করা এবং লটারি থেকে প্রাপ্ত অর্থ যাতে কেউ নষ্ট করে ফেলেন, তা দেখা।” আব্রাহাম জানান, লটারি জেতা ব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে মানসিক চাপে পড়ে যান। একে তো আচমকা ভাগ্যবদল। এছাড়াও আত্মীয় প্রতিবেশী সকলে তাঁদের কাছে অর্থ চাইতে চলে আসেন। এই কারণেই মনোবিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেরলে লটারির টিকিট থেকে বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। রয়েছে ২ লক্ষ টিকেট বিক্রেতা৷ রাজ্য লটারি দপ্তর প্রতিদিন ১.০৮ কোটি লটারির টিকিট ছাপেন। প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়ে যায়। রাজ্য লটারির কর্তাদের দাবি, মোট আয়ের ৯০ শতাংশ বিজয়ীদের পুরস্কার অর্থ এবং এজেন্টদের কমিশনের আকারে জনসাধারণের কাছে ফিরে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.