ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পথকুকুরের তাণ্ডব ক্রমেই পথচারীদের চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পথকুকুর কামড়ালে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাঁদেরই দায় নিতে হবে। এহেন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দিতে বন্দুক হাতে তুলে নিতে হল কেরলের স্থানীয় বাসিন্দাদের। পথে চলাফেরা করার সময়ে যাতে কোনওভাবে কুকুর আক্রমণ করতে না পারে, সেই জন্যই এহেন ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম সমীর। তিনি কেরলের (Kerala) কাসাড়াগাড় এলাকার বাসিন্দা। হঠাৎ বন্দুক নিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার দরকার পড়ল কেন? উত্তরে সমীর জানিয়েছেন, গত কিছুদিন ধরে পথ কুকুরদের উৎপাত খুবই বেড়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত দশজনকে কুকুরে কামড়ে দিয়েছে। রাস্তায় চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
তাই বাধ্য হয়েই হাতে বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন সমীর। একাই দায়িত্ব নিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। রাস্তায় যাতে কোনও কুকুর (Stray Dog) আক্রমণ করতে না পারে, সেই জন্যই বন্দুক হাতে নিয়ে বেরন তিনি। প্রসঙ্গত, সমগ্র কেরলেই পথকুকুরদের দৌরাত্ম্য খুব বেড়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই এক স্কুলছাত্রের উপর হামলা করেছিল একদল পথকুকুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই হামলার ভিডিও।
শুধুমাত্র হামলাই নয়, কুকুরের কামড়ে মৃত্যুও হয়েছে এক কিশোরীর। কুকুরের কামড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় ওই স্কুলপড়ুয়া। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেরল ও মহারাষ্ট্রে পাগল হয়ে যাওয়া কুকুরদের মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রস্তাব দেয়, “পথকুকুর যদি কাউকে কামড়ায়, তাহলে যে ব্যক্তি তাকে খেতে দেন, তিনিই দায়ী হবেন। সেই পথকুকুরের টিকাকরণের দায়িত্বও নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.