সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এও এক ‘মধুচক্র’। একে সুন্দরী, তায়ে গরিব এবং অসহায়তার গল্প। সহজেই ফাঁদে পড়তেন অবিবাহিত যুবকেরা। মাটি নরম হয়েছে বুঝতে পারলেই বিয়ের প্রস্তাব দিতেন তরুণীও। এবং বিয়ের পরেই চম্পট! খালি হাতে নয় নিশ্চয়ই। শ্বশুরবাড়ি থেকে গয়না, টাকা লুট করে পালাতেন অনুরাধা পাসওয়ান। এবারে সামান্য ভুলচুক হয়েছিল। তাতেই ধরা পড়ে গেলেন। নচেত ২৫টি বিয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা এবং গয়না লুটের অভিযোগ তরুণীর বিরুদ্ধে। ‘মক্ষীরানি’কে গ্রেপ্তার করেছে রাজস্থান পুলিশ।
একা ‘বাবলি’ না, দলে ‘বান্টিরা’ও উপস্থিত। নচেত অপারেশন চালানো কঠিন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর আসল নাম অনুরাধা পাসওয়ান। তবে প্রতারণার সুবিধার জন্য জায়গা ও নাম-পরিচয় বদলে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন তিনি। গরিব কনের অভিনয় করে ফাঁসাতেন স্থানীয় যুবকদের। অনুরাধার লোকেরাই ওই যুবকের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতেন। কনের অসহায় জীবনের গল্প বলতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাতেই মন গলত পাত্রপক্ষের। ঠিক হয়ে যেত বিয়ে। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দু’লক্ষ টাকা নিতেন অনুরাধার দলের সদস্যরা।
এখানেই ফুরোচ্ছে না প্রতারণা। বিয়ের পর পরিকল্পনা মাফিক ক’দিন শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন অনুরাধা। ভালো ব্যবহার ভুলিয়ে রাখতেন বাড়ির লোকেদের। সকলের বিশ্বাস অর্জনের পর একদিন খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে দিতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। এবং নগদ, গয়না লুট করে পালিয়ে যেতেন।
এবারও একই পদ্ধতিতে একটি পরিবারকে ফাঁসান অনুরাধা। ২০ এপ্রিল সওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয়েও গিয়েছিল ‘লুটেরা দুলহন’-এর। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ে ঠিক করে দেওয়ার জন্য পাপ্পু মিনাকে দু’লক্ষ টাকা দিয়েছিল বিষ্ণুর পরিবার। বিয়ের দুই সপ্তাহের মধ্যেই সওয়া লক্ষ টাকার গয়না, ৩০ হাজার টাকা নগদ এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেন অনুরাধা। সমস্যা হল, অন্য প্রতারিতদের মতো কেবল হতাশ হননি বিষ্ণু। তিনি দ্রুত থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে অনুরাধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.