সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আধুনিকতার মর্যাদা পেলেও মানসিকতার উন্নয়নে এখনও পিছিয়ে সমাজ। পিরিয়ড(Period) বা ঋতুচক্র ট্যাবু এখনও অক্ষত। ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেক সময়ে পরিজনদেরও রোষানলে পড়েন বহু মহিলা। রান্না করা থেকে মন্দিরে প্রবেশ, সর্বত্রই সমালোচনার শিকার হতে হয় তাঁদের। ঋতুচক্র একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। এই ধারণা মানুষের মধ্যে স্বচ্ছ করতে অভিনব উদ্যোগ নিল দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সম্প্রতি তাঁরা উদযাপন করলেন ‘পিরিয়ড ফিস্ট’ (Period Feast)। সেই ফিস্টে ঋতুকালীন অবস্থাতেই ২৮ জন মহিলা প্রায় ৫০০ জন লোকের রান্না করলেন। সেই অনুষ্ঠানের ট্যাগলাইন হিসেবে লেখা ছিল, ‘ঋতুকালীন মহিলা হিসাবে গর্বিত’।
ছাত্রীরা ঋতুমতী কিনা জানতে গুজরাটের ভুজের একটি কলেজের হস্টেল(Hostel) হেনস্থা করা হয় ছাত্রীদের। হস্টেলের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা করেন কলেজের অধ্যক্ষা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গুজরাটের ধর্মগুরু মন্তব্য করেন, ঋতুকালীন অবস্থায় যে সব মহিলা স্বামীর জন্য রান্না করেন, “তাঁরা পরজন্মে কুকুর হয়ে জন্মাবেন! পাশাপাশি এই রজঃস্বলা মহিলাদের হাতের রান্না খেলে পুরুষেরা ষাঁড় হয়ে জন্মাবেন।” তবে এরপরেও প্রতিবাদে মুখর হয় দেশের নাগরিকরা। ভুজের কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি (Committee) গঠন করা হয়।
এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেই এই পিরিয়ড ফিস্টের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘সাচ্চি সহেলি’ (Sachhi Saheli) সংস্থার প্রধান সুরভি সিংহ। তিনি বলেছেন, “ওই কুরুচিকর মন্তব্যের জবাব দিতেই আমরা এই আয়োজন করেছি। ঋতুকালীন মেয়েদের রান্না খেয়েও যে পরিবর্তন হয় না, তা দেখাতেই এই আয়োজন।” এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির (Delhi) ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.