সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কন্যার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পিতা। ছেলেরা মা ঘেঁষা আর মেয়েরা বাবার কাছের হয়ে থাকে, এমনটাই চলতি ধারণা। স্নেহের সম্পর্কের এই ভাবনায় সিলমোহর দিলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজের প্রখ্যাত নিউরোসার্জেন ডাঃ খৈতান। নিট (NEET) পরীক্ষায় বসা নিয়ে খানিক দ্বিধায় ছিলেন সদ্য অষ্টাদশী মেয়ে মিতালী, তাঁকে উৎসাহ দিতে নিজেও পরীক্ষায় বসেন ডাঃ খৈতান। ফল প্রকাশের পর দেখা গেল বাবা, মেয়ে উভয়েই সাফল্যের সঙ্গে কৃতকার্য হয়েছেন।
৪৯ বছরের বাবা এবং বছর আঠারোর মেয়ে একসঙ্গে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি ক্যাম এন্ট্রান্স টেস্টের জন্য তৈরি হয়েছিলেন। আলাদা পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। ফলাফল প্রকাশিত হয় গত জুন মাসে। যার পর দেখা যায়, বাবার চেয়ে ভালো ফল করেছে মেয়ে। ডাঃ খৈতান পান ৮৯ শতাংশ, মিতালী পান ৯০ শতাংশ নম্বর। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের কাছে এই হারে বেজায় খুশি বাবা। ডাঃ খৈতান বলেন, “আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। জুন মাসে ফল বেরতে বেজায় অবাক হয়েছি।” ইতিমধ্যে কর্নাটকের বিখ্যাত কস্তুরবা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন মিতালী। বাবা-মেয়ের এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যতম সেরা নিউরোসার্জেন ডাঃ খৈতানের নাম রয়েছে গিনেস বুক অফ রেকর্ডেও। ২০১১ সালে একটানা ৮ ঘণ্টার কঠিন অস্ত্রপচার করেন। ১৮ বছরের যুবকের মস্তিষ্ক থেকে ২৯৬ সিস্ট অস্ত্রপচারে বাদ দেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই চমকে গিয়েছিল ভারত-সহ গোটা বিশ্বের চিকিৎসক মহল। ডাঃ খৈতানের সতীর্থদের ডাক্তারদের বক্তব্য, চিকিৎসক জীবনে এমন একাধিক কঠিন অস্ত্রপচার করেছেন প্রয়াগরাজের এই চিকিৎসক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.