সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেনে কিংবা বাসে দেখা। সেখান থেকে প্রেম। এমন নজির নতুন কিছু নয়। বহু সিনেমাতে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। নিউইয়র্কের এক যুগলের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু অন্যরকম। বাসে উঠেই তাদের মন দেওয়া-নেওয়া। ১৩ বছর পর চারহাত এক হাত হল। বিয়ের অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে রাখতে যে বাসে তাদের দেখা হয়েছিল সেই বাসেই বাগদান পর্ব চলে।
[রাম রহিমের গুন্ডাদের তাণ্ডব রুখে দেশবাসীর কুর্নিশ কুড়োচ্ছেন ইনি]
পাত্রের নাম ওসভালডো জিমেনেজ। পাত্রী কারা মুলিনস। ২০০৪ সালে কোনও এক রাতে নিউইয়র্কের M14D রুটের বাসে আচমকাই তাদের দেখা হয়েছিল। সেই সময় জিমনিজের বয়স ছিল ২৮, কারার ২২। প্রথম দর্শনেই জিমেনেজে বুঝে যান এমন মেয়েকেই তিনি খুঁজছিলেন। কারাও বোধহয় একই কথা মনে হয়েছিল। লজ্জায় অবশ্য বেশি কিছু বুঝতে দেননি ওই মার্কিন তরুণী। তবে কারাই জিমেনেজের ফোন নম্বর জোগাড় করেন। নিউইয়র্কে দেখা হবে বলে ঠিক হয়। তারপর গন্তব্য M14D রুটের বাস। প্রেমের জল ধীরে ধীরে গড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত। ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী হয়েছিলেন দুই পরিবারের ৮০ জন সদস্য। বিয়ের দিন মনের মানুষকে কাছে পেয়ে একেবারে গদগদ অবস্থা জিমেনেজের। মার্কিন তরুণের কথায়, কারার জন্য তিনি ১৩ বছর অপেক্ষা করেছেন। আর তর সয়নি। জীবনের বাকি দিনগুলো এভাবে কাটাতে চান। তবে ১৩ বছর আগের কথা গড়গড় করে বলে দিতে পারেন জিমেনেজ। বলা ভাল, বলতে ভালবাসেন।
বাসেই কেন বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা। জানা যাচ্ছে মূলত কনের ইচ্ছেয় বাসেই বিয়ের আসর বসে। কারণ কারার মনে হয়েছিল বাসের মতো ছন্দ তাদের সম্পর্কের চাকায় আরও গতি আনবে। অন্যরকম বিবাহ অভিযানে অবশ্য তাজ্জব হয়ে যান সহযাত্রীরা। তাদের মুখে মুখে ঘুরছে কারা-জিমেনেজের প্রেম কাহিনির কথা। বিয়ে সেরে কারা এবং জিমেনেজ যাচ্ছে নীলনদের দেশে। ইজিপ্টে তাদের মধুচন্দ্রিমা।
[চিকিৎসার আড়ালেই নার্সের নৃশংস হত্যালীলা, একে একে ৯০ জন খুন!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.