গ্রাফিক্স: অরিত্র দেব।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: একই পরিবারের তিনজন পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন আবার রাজ্যের মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তাতে কী? সেই পুলিশের ডেরাতেই চোরের বাসা! বনগাঁর গাইঘাটায় চুরির ঘটনা ঘিরে এমনই পরিস্থিতি। পুলিশের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হানা দিল চোরের দল| লুটপাটও চালাল অবাধে। একই রাতে ওই পুলিশ পরিবারের পাশের আরও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার উত্তর বকচোরা ১ নম্বর টালি কারখানায় এলাকায়| খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীর দল বাড়িতে ঢুকে স্প্রে জাতীয় কিছু ছড়িয়েছিল। যার জন্য বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যরা কেউ টের পাননি। সূত্র জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের এক পুলিশ কর্মী রাজ্যের মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে রয়েছেন। বাকি দুই সদস্য বনগাঁ পুলিশ (Bongaon Police) জেলায় কর্মরত। রাতে পরিবারের তিন পুলিশ সদস্যই বাড়ি ছিলেন না। শনিবার সকালে চুরির খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁরা। পরিবারের বক্তব্য, চোরের দল তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমারি শোকেস ভেঙে লন্ডভন্ড করে ঘরের জিনিসপত্র। পুলিশ কর্মী শান্তনু দাস জানান, প্রায় ২০০ গ্রাম মতো সোনার গহনা লুট (Loot) করে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা। আলমারি ভেঙে দুষ্কৃতীরা সব কিছু নিয়ে গিয়েছে।
একই রাতে প্রতিবেশী রাখি বিশ্বাস নামে এক মহিলার বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে রাখি দেবী ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর বাড়িতেও চোরের দল তাণ্ডব চালিয়েছে। তাঁর দাবি, প্রায় ২ লক্ষ টাকার সোনা, টাকাপয়সা নিয়ে গিয়েছে চোর। তিনিও গাইঘাটা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ চুরির ঘটনা গুলির অন্তত শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত গাইঘাটা থানা এলাকার উত্তর বকচরা এক নম্বর টালি কারখানা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়েছে বহিরাগতদেরও আনাগোনা বেড়েছে অভিযোগ। সম্প্রতি গুলি চালনা, মারামারি-সহ একাধিক ঘটনা ওই এলাকায় ঘটেছে। ফের পর পর চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.