সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদনি আলোয় মোড়া রাত। চতুর্দিক সাদা। সেই রাতেই রাস্তায় ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে সাদা কাপড়ে ঢাকা বেশ কয়েকজন। যাদের মুখ দেখা যায় না। তবে রাস্তায় কেউ বেরোলেই তাদের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারা। তারপর অশরীরীর আতঙ্কে থরহরিকম্প দশা। ছোটবেলায় গল্পের পাতায় পড়া ভূতের মতো তারা রক্ত পান করছে না। পরিবর্তে করোনাকে রুখতে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছে অশরীরী। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এমনই অভিনব রাস্তা বেছে নিল ইন্দোনেশিয়ার কেপু গ্রাম।
লকডাউন সফল করতে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ। চলছে ধরপাকড়। তবে তা সত্ত্বেও রাস্তায় বেরোচ্ছেন অনেকেই। তাই আইনি ব্যবস্থা নয়। সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখার জন্য অশরীরীতেই ভরসা রেখেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। ওই গ্রামের যুবকদের নিয়ে তৈরি দলের প্রধান বলেন, “আমরা চাই সাধারণ মানুষ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকে দূরে রাখতে বাড়িতে থাকুন। তাই তাঁদের বাড়িতে রাখার জন্য এই বন্দোবস্ত।” তবে একেবারে প্রথম দিকে নির্দিষ্ট সময় মেনে রাস্তায় অশরীরীদের দেখা মিলেছিল। তাতে যদিও হিতে বিপরীতই হচ্ছিল বেশি। কারণ, বহু মানুষ অশরীরীদের দেখতে ভিড় জমাচ্ছিলেন। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি একেবারেই মেনে চলছিলেন না কেউ। কিন্তু বর্তমানে সেই নিয়মের বদল আনা হয়েছে। যেকোনও সময় এখন এলাকায় হানা দিচ্ছে অশরীরী। রাস্তায় লোকজন ঘোরাফেরা করলেই ভয় দেখাচ্ছেন তাঁরা। তার ফলে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকছেন অনেকেই।
ওই গ্রামের প্রধান প্রিয়াদি বলেন, “সাধারণ মানুষ করোনার ভয়াবহতা নিয়ে বুঝিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল। তবে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেয়ে অশরীরীর আতঙ্ক অনেক বেশি কাজ করছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।” স্থানীয়রা এ বিষয়ে একমত। কারনো সুপদ্ম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “অশরীরীর আতঙ্কে সত্যিই কাঁপছে সকলে। তাই সন্ধেবেলায় অকারণে কাউকেই আর রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে না। সকলেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ঢুকে পড়ছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.