সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল টেক্সাসের চিকো। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। সটান সে উপস্থিত হয় টেক্সাসের ওডেসা থানায়। এদিকে চিকোকে থানায় দেখে তো পুলিশকর্মীরা হতবাক। চিকোর মতো একজন যে থানায় এসে উপস্থিত হতে পারে, ভাবেনি কেউ। যেন হারিয়ে গিয়ে রিপোর্ট লেখাতে এসেছে সারমেয়। চিকোর এই কার্মকাণ্ড এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কে এই চিকো? গ্যাংস্টার? নাকি কোনও বাচ্চা? কোনওটাই নয়। চিকো আসলে এক পূর্ণবয়স্ক জার্মান শেপার্ড। একদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎই ওডেসা থানায় উপস্থিত হয় সে। থানায় একটি জার্মান শেপার্ড আচমকা ঢুকে আসায় অবাকই হয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু চিকোর কর্মকাণ্ড তখনও বাকি ছিল। থানার ফ্রন্ট ডেস্কে এসে দু’পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সে। যেন হারিয়ে যাওয়ার রিপোর্ট লেখাতে এসেছে সে। চিকোকে এভাবে দেখে প্রথমে অবাক হলেও হেসে লুটোপুটি খান তাঁরা। চিকোকে আদরও করেন। কিছুক্ষণ পুলিশকর্মীদের আদর খেয়ে বেরিয়ে যায় চিকো। এরপরই চিন্তায় পড়ে যায় পুলিশ। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে জানা যায়, বাড়ি ফিরে গিয়েছে সে।
ব্রিটিশ এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, চিকোর মালিকের নাম এডওয়ার্ড অ্যালভারাডো। তিনি যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই দরজা খোলা পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে চিকো। ঘুরতে ঘুরতে থানায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটায়। এডওয়ার্ড কিন্তু এসবের কিছুই জানত না। পরে তিনি এক আত্মীয়ের থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। এদিকে, গোটা ঘটনাটি জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ওডেসা পুলিশ। সেটি এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। চিকোতে এখন মেতে আছে নেটিজেনরা। চিকোর কাণ্ডকারখানা দেখে মজার মজার পোস্ট দিচ্ছে তার। কেউ কেউ তো বলছেন, ‘মিসিং ডায়রি’ লেখাতেই নাকি থানায় গিয়েছিল চিকো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.