সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও অনলাইন পরীক্ষার দাবি, কোথাও ‘ওপেন বুক’ পদ্ধতির পক্ষে সওয়াল। নানা দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের কথা শোনা যায়। শিক্ষক নিগ্রহের মতো ঘটনাও বিরল নয়। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাচ্ছে বিহারের জামুই জেলার ১০ বছরের বালিকা। মাত্র এক পায়ে ভর করেই রোজ এক কিলোমিটার দূরের স্কুলে যায় ছোট্ট সীমা। নিজেও পড়ে। আবার বাড়িতে ফিরে ভাই-বোনদেরও পড়ায়।
জামুই জেলার খয়রা ব্লকে বাড়ি সীমার। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সেই সবচেয়ে বড়। বাবা কাজের জন্য বাইরে থাকেন। বাড়ির কাজ সেরেই নিয়মিত স্কুলে যায় সীমা। দু’বছর আগে এক পথ দুর্ঘটনায় একটি পা হারায় ১০ বছরের বালিকা। কিন্তু নিজের সাহস হারায়নি। এক পায়ের সাহায্যেই রোজ স্কুলে পৌঁছে যায় সে। সেখানে নিয়মিত ক্লাস করে।
সীমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁর শিক্ষকরা। জানান, সীমাকে দেখেই এলাকার অন্যান্য বাচ্চারা স্কুলে আসে। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখায়। শুরু থেকেই সীমার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ, জানান তার ঠাকুমা। জেদ করেই স্কুলে যেতে শুরু করে সে। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা খয়রা। খুব একটা পড়াশোনার চল নেই। এই এলাকাকেই শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে চায় সীমা। রোজ বাড়ি ফিরে যা শিখেছে নিজের ভাই-বোনদের শেখায়।
এক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে সীমার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। তা শেয়ার করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। “১০ বছরের বালিকার এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আমাকে আবেগপ্রবণ করে দিল। দেশের প্রত্যেক শিশুর উপযুক্ত শিক্ষার দাবিদার। আমি রাজনীতি বুঝি না, শুধু এটুকু জানি যে প্রত্যেক সরকারের কাছে এই কাজের জন্য যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে। সীমার মতো প্রত্যেক শিশুকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া সত্যিকারের দেশভক্তের কর্তব্য হওয়া উচিত, এটাই আসল দেশভক্তি।”
10 साल की सीमा के जज़्बे ने मुझे भावुक कर दिया। देश का हर बच्चा अच्छी शिक्षा चाहता है। मैं राजनीति नहीं जानता, इतना जानता हूँ कि हर सरकार के पास पर्याप्त संसाधन हैं।
सीमा जैसे हर बच्चे को अच्छी से अच्छी शिक्षा देना ही हर सच्चे देशभक्त का मिशन होना चाहिए, यही सच्ची देशभक्ति है। https://t.co/XI5stbpgSN
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) May 25, 2022
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.