সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধুর সঙ্গে বসে নেশা করছিলেন যুবক। আর সেই নেশার ঘোরেই ঘটে গেল এক কীর্তি। যার দরুন শেষ অবধি হাসপাতালে ছুটতে হল ওড়িশার যুবককে। তাঁর পেটের এক্স-রে রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের। কী ছিল সেই রিপোর্টে?
ওড়িশার গঞ্জমের বাসিন্দা ক্রুশনা রাউত (৪৫)। তিনি সুরাটে শ্রমিকের কাজ করতেন। দশ দিন আগে সুরাটে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন ক্রুশনা। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মজার ছলেই তাঁর পায়ুদ্বারে একটি স্টিলের গ্লাস ঢুকিয়ে দেয় বন্ধুরা। নেশার ঘোরে বিষয়টি বুঝতে পারেননি ক্রুশনা।
নেশা কাটতেই তাঁর তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। কিন্তু লজ্জায় পরিবারের কাউকে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। যন্ত্রণা আরও বাড়তে থাকায় সুরাট ছেড়ে গঞ্জামে ফিরে আসেন ক্রুশান। বাড়ি ফেরার পর থেকেই পেট ফুলতে শুরু করে ওই ব্যক্তির। মল মূত্রত্যাগ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। পরিবারের সদস্যরা ক্রুশানকে এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। আর দেরি করেননি ক্রুশান। সেখানে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হতেই ডাক্তারদের মাথায় হাত।
এক্স রে প্লেটে দেখা যায়, ক্ষুদ্রান্ত্রে আটকে রয়েছে স্টিলের গ্লাস। প্রথমে চিকিৎসকরা পায়ুদ্বার দিয়ে গ্লাস বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শেষে অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের চেষ্টায় শেষে ক্ষুদ্রান্ত্র কেটে বের করে আনা হয় গ্লাসটি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আপাতত সুস্থ আছেন ওই ব্যক্তি। দ্রুত বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু পায়ুদ্বার দিয়ে কীভাবে স্টিলের গ্লাস ক্ষুদ্রান্ত্রে গেল, তা এখনও বুঝতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.