সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভারবাহী পশু’ বললেই যার মুখ ভেসে ওঠে সে গাধা। চিরকাল অন্যের ভার বহন করতেই দেখা গিয়েছে চতুষ্পদ এই প্রাণীকে। কিন্তু যদি দেখা যায়, এক গাধাকেই (Donkey) কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন কোনও ব্যক্তি! স্বাভাবিক ভাবেই সেই মানুষটার আক্কেলজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এমনই একটি ছবি শেয়ার করলেন ‘বায়োকন’-এর চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার শ (Kiran Mazumdar-Shaw)। জানিয়ে দিলেন, তাঁর এই পোস্টের সঙ্গে যোগ রয়েছে দেশের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির!
ব্যাপারটা শুনতে ধাঁধার মতো লাগলেও কিরণ কিন্তু নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ঠিক কী লিখেছেন তিনি? নিজের টুইটারে ছবিটি শেয়ার করে তিনি জানান, ”এই ছবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। একজন সৈন্য একটি গাধাকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনটা নয়, ওই সৈন্য গাধাটিকে খুব ভালবাসে। কিংবা তার কোনও রকম বিকৃতি রয়েছে। আসলে ওই মাঠজুড়ে পোঁতা আছে মাইন। যদি গাধাটিকে নিজের মনে ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলে সে নিজের মনে ঘুরে বেড়াবে। আর তার ফলে যে কোনও মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটে সকলের মৃত্যু হবে। এই গল্পের নীতিশিক্ষা হল কঠিন সময়ে আপনাকে প্রথমে যাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে তারা হল নির্বোধরা। যারা বিপদকে বুঝতে পারে না আর মন যা চায় তাই করে বেড়ায়।”
A good analogy from World War II pic.twitter.com/ooHlhPvJkU
— Kiran Mazumdar-Shaw (@kiranshaw) April 14, 2021
তাঁর এই পোস্ট থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, এই মুহূর্তে দেশে লাফিয়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ও সেই সঙ্গে কোভিড বিধি মেনে চলতে বহু মানুষের অসতর্কতাকেই বিদ্ধ করেছেন তিনি। মাস্ক না পরার জন্য জরিমানা দিতে হয়েছে বহু মানুষকে। তবুও সচেতনতা আসেনি। কেবল মাস্ক না পরাই নয়, বহু মানুষের সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলা কিংবা উপযুক্ত স্যানিটাইজেশনের পথে না হাঁটা দেশের সংক্রমণ বাড়ার এক অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে কিরণের এই পোস্টের বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি ওই ছবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নয়। পরে দেখা যায়, তাঁদের দাবি সত্যি। আসলে ছবিটি ১৯৫৮ সালে আলজেরিয়ার যুদ্ধের। আসলে ওই গাধাটি আহত বলেই তাকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছিল ওই সেনা। তবে ছবিটির সত্যতা যাই হোক না কেন, কিরণের বার্তাটি যে গুরুত্বপূর্ণ মেনে নিয়েছেন নেটিজেনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.