অর্ণব আইচ: মনে পড়ছে না ল্যাপটপ কোথায়। কোথাও রেখেছি, না কি কাউকে বিক্রি করেছি, কিছুই মনে পড়ছে না। ‘চোর’-এর এহেন কথা শুনে হতবাক লালবাজারের গোয়েন্দারা। এবার এই ‘ভুলো চোর’-এর কাছ থেকে মধ্য কলকাতার এক নামী চিকিৎসকের ল্যাপটপ উদ্ধার করতে নাস্তানাবুদ গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া এলাকায় এই চুরির ঘটনাটি ঘটে। এখানেই রয়েছে এক চিকিৎসকের বাড়ি। সম্প্রতি বাড়ির দরজায় লক না করে পরিবারের লোকেরা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ওই দুষ্কৃতী। সোজা সে চলে যায়, যেখানে কাজ করেন চিকিৎসক। ওই ঘরটির ভিতর থেকে তাঁর ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক, এটিএম কার্ড ও একটি ব্যাগে থাকা নথি নিয়েও পালিয়ে যায়। চিকিৎসক এই ব্যাপারে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। সনাক্তকরণের পর খোঁজ করে শিয়ালদহ এলাকা থেকে কাবিল মোল্লা নামে ওই দুষ্কৃতীকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও চুরি যাওয়া অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি ল্যাপটপের।
অথচ চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, ওই ল্যাপটপেই রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই ল্যাপটপটি ফেরৎ পাওয়া তাঁর পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেই ল্যাপটপ উদ্ধার করতেই গলদঘর্ম অবস্থা গোয়েন্দাদের। যখনই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তখনই কাবিল মোল্লা পুলিশকে বলছে, মাদকাসক্ত অবস্থায় সে চুরি করেছে। নেশার ঘোরে সে বুঝতেও পারছে না যে, ল্যাপটপ কার হাতে তুলে দিয়েছে। সেটি কোথায় রেখেছিল, তা-ও মনে করতে পারছে না সে। ফলে তাকে বহু জেরা করেও ল্যাপটপ উদ্ধার করতে পারেননি গোয়েন্দারা। এবার কাবিলের পরিচিত ব্যক্তিদের জেরা করেই সেই ল্যাপটপটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে, মধ্য কলকাতার বড়বাজারে কৃত্রিম ভিড় সৃষ্টি করে ব্যাগ থেকে টাকার ব্যাগ তুলে নেওয়ার অভিযোগে মহিলা গ্যাংয়ের দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাদের নাম রাধা মালি ও গিনি মালি। হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা তারা। তাদের জেরা করে চুরি যাওয়া ব্যাগ উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.