সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পঞ্ছি, নদীয়া, পবন কে ঝোঁকে/ কোয়ি সরহদ না ইনহে রোকে’, বাংলা করলে দাঁড়ায় পাখি, নদী, বাতাসকে কোনও রাষ্ট্রের সীমান্তভাগ রুখতে পারে না। বার বার প্রমাণিত কাঁটাতারের পরোয়া করে না ভালোবাসাও। এবার সেই উদাহরণ তৈরি করলেন পাকিস্তানের জাওয়ারিয়া খানম এবং কলকাতার যুবক সমীর খান। সমীরকে বিয়ে করতেই মঙ্গলবার ভারতে এসেছেন পাক তরুণী।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ পাকিস্তানের করাচি থেকে অমৃতসরের ওয়াঘা বর্ডার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন জাওয়ারিয়া। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সমীর এবং তাঁর বাবা আহমেদ কামাল খান। ‘শত্রু’ রাষ্ট্রে আসার ভিসা পাওয়া সহজ কথা না। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর যা পান জাওয়ারিয়ার। স্বভাবতই তিনি বেজায় খুশি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন সমীর এবং জাওয়ারিয়া।
কলকাতার ছেলে আর পাকিস্তানের মেয়ের প্রেম কাহিনির শুরু ২০১৮ সালে। মায়ের ফোনে প্রথমবার জাওয়ারিয়ার ছবি দেখেছিলেন সমীর। প্রথম দেখাতেই ‘সর্বনাশ’! প্রেমে পড়েন সমীর। মাকে জানান, এই মেয়েকেই বিয়ে করতে চান। বিয়ের বিষয় যখন একমত হয় সীমান্ত পাড়ে দুই পরিবার, তখনই এসে পড়ে ভিলেন কোভিড। তাছাড়া জাওয়ারিয়ার ভিসা আটকাচ্ছিল বার বার। শেষ পর্যন্ত পাঁচ বছর পর ভালোবাসার মানুষটির কাছে পৌঁছানোর পথ তৈরি হয়। লম্বা লড়াই শেষে ৪৫ দিনের ভিসা পান পাক তরুণী।
এর পর মঙ্গলবার সকালেই সীমান্ত ডিঙিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন জাওয়ারিয়ার। তাঁকে স্বাগত জানান সমীর এবং তাঁর বাবা। এদিনই তাদের কলকাতায় পৌঁছানোর কথা। সমীর বলেন, “আমার বাগদত্তাকে দু-বার ভিসা দেওয়া হয়নি। এর পর সমাজসেবক ও সাংবাদিক মকবুল আহমেদ ওয়েসির কাদিয়ানের সাহায্যে ভিসা মঞ্জুর হয় পাকিস্তানি তরুণীর। জাওয়ারিয়ার বলেন, “পাঁচ বছর পরে ভিসা পেয়েছি। আমি ভীষণ খুশি। এটি একটি সুখের শুরু।” ভালোবাস ফের উপেক্ষা করল দুই রাষ্ট্রের বৈরিতা তথা কাঁটাতারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.