ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে কাজ করছেন অথচ মাইনে বাড়াননি মালিক। মালিককে শিক্ষা দিতে ডাকাতির ছক কর্মীর। সিনেমার মতোই চিত্রনাট্য সাজিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেও শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
ফরিদাবাদের (Faridabad) বাসিন্দা বিজয় প্রতাপ দীক্ষিত (Vijay Pratap Dixit)। নীতিন নামের এক ব্যক্তির নির্মাণ সংস্থায় বহু বছর ধরে কাজ করছিল। ১৩ আগস্ট পুলিশকে বিজয় জানায়, তার কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কীভাবে ঘটনা ঘটল? পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে বিজয় জানায়, মালিক নীতিনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নগদ এবং ১০ লক্ষ টাকার চেক নিয়েছিল সে। তাঁর কথা মতোই নগদ টাকা কোম্পানির ম্যানেজার রমেশ ভাটিয়াকে দিয়েছিল। পরে মহেশ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে চেক ভাঙিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নেয়। তা নিয়ে ফেরতও আসছিল। আচমকা সন্ধে ছ’টা নাগাদ এক ব্যক্তি তার পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে বাইকে ওঠার নির্দেশ দেয়। বাইক চলতে শুরু করলে আরও দু’জন বাইকে করে তাদের পিছু নেয়। বরা পুল্লা ফ্লাইওভারের কাছে তাঁকে নামিয়ে ১০ লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
বিজয়ের বক্তব্য শুনে ৩৯২-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে মালিক নীতিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনও পুলিশের মনে কোনও সন্দেহ জাগেনি। এরপর ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে বিজয় প্রতাপ দীক্ষিতকে নিয়ে যায় পুলিশ। তখনই তার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বিজয়ের আগের গল্পের সঙ্গে পরের গল্প মেলে না। পরে পুলিশের জেরার মুখে বিজয় স্বীকার করে, মালিককে শিক্ষা দিতেই ডাকাতির ছক কষেছিল সে। পুলিশকে বিজয় জানায়, বহু বছর ধরে নীতিনের কোম্পানিতে কাজ করেও মাইনে বাড়েনি। এ বিষয়ে বলতে গেলে সকলের সামনে চড় মেরে তাঁকে অপমান করা হয়েছিল। সেই শোধ তুলতেই মালিকের টাকা এভাবে লুট করার ছক কষেছিল সে। বিজয়ের বাড়ি থেকেই ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। আপাতত পুলিশের হেফাজতে বিজয় প্রতাপ দীক্ষিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.