সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমি পুরাণমতে, পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর সেই ছাই থেকে ফের জন্ম নেয় ফিনিক্স পাখি। গত বুধবার আমেরিকার টেনেসির মেথডিস্ট লেবনহুর হাসপাতালে যা হল, তার সঙ্গে এই প্রবাদের মিল আছে। তবে ছাইয়ের বদলে এখানে প্রাণ পেয়েছে একখানা ধ্বংসস্তূপ। ১৮ বছরের পুরনো সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে গোটা আমেরিকার দগদগে আবেগ। গত বুধবার, ৯/১১-র ১৯ তম বার্ষিকীতে, ঠিক রাত ৯টা বেজে ১১ মিনিটে সেই ধ্বংসস্তূপকেই যেন নেড়েচেড়ে দিল ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স ওজনের ছোট্ট একটি প্রাণ।
এখন বয়স সবে চার দিন। তবে এরই মধ্যে আমেরিকার বিস্ময় বালিকা হয়ে উঠেছে টেনেসির এই সদ্যোজাত কন্যা। তার নাম রাখা হয়েছে ক্রিস্টিনা ব্রাউন। যদিও তার মা তাকে লিটল মিরাকল বা খুদে বিস্ময় বলেই ডাকছেন এখনও। ‘ওকে দেখে একটা কথাই মনে হচ্ছে। ও যেন ৯/১১-র সমস্ত ধ্বংস, নাশকতা আর যন্ত্রণাকে ভুলে নতুন প্রাণ সঞ্চারের প্রতীক।’ জানাচ্ছেন মা ক্যামেট্রিওন মুর ব্রাউন।
বাবা জাস্টিন ব্রাউনের বিস্ময়ের ঘোরও কাটেনি এখনও। ‘১১ সেপ্টেম্বর প্রসবের কথা আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু, যখন জন্মের পর ওজন করা হল, তখন জন্মের সময় আর ওজনের রেকর্ড দেখে থ হয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসক আর নার্সরাও। এমন অদ্ভুত সমাপতন বিশ্বাস করা সত্যি কষ্টকর। তবে এমন এক দুঃখের দিনে এমন অদ্ভুত আনন্দের খবর পাওয়াটাও বেশ প্রতীকী। মানতেই হবে। পুরো বিষয়টি যেন যন্ত্রণা ভুলে এগোনোর বার্তা দিচ্ছে।’
সমাপতনটি যে বিরলের মধ্যে বিরলতম একবাক্যে তা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের মহিলা পরিষেবা বিভাগের প্রধান রেচেলও। গত ৩৫ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ‘গত ৩৫ বছরে কোনও শিশুর জন্মদিন, জন্মের সময় আর ওজনে এমন মিল দেখিনি আমি।’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়দার হামলায় ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার। এই ঘটনায় নিহত হন প্রায় ৩০০০। জখম হন আরও অন্তত ১০০০। প্রতিবছর এই দিনে আমেরিকাজুড়ে শোকদিবস পালন করা হয়। ঘটনাস্থলে থাকা গ্রাউন্ড জিরোতে নীরবতা পালন করে স্মরণ করা হয় নিহতদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.