সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অনেকেই হয়তো বদলার কথা ভাবেন। যদিও শেষে পেরে ওঠেন না। শোক ডুবে যাওয়া মানুষটা মানসিক শক্তি হারান। ফলে বড়জোর প্রবল ঘৃণা করেন সেই মানুষটাকে, কিছুদিন আগেও যে ছিল প্রিয়। কিন্তু কাইলা সে জাতের মেয়ে না। সে রীতিমতো ছক কষে বদলা নিল প্রতারণার। নিশ্চয়ই এতখানি ভাবতে পারেনি ওই প্রেমিক। ফলে গোটা একমাস ধরে ভুয়ো চাকরির ইন্টারভিউ দেয় সে, শেষে হতাশ এবং চরম অপমানিত হয়। একটি টিকটক ভিডিওর (TikTok Video) মাধ্যমে প্রেমিককে হেনস্থা করার এই কাহিনি নিজেই জানিয়েছেন কাইলা। যে ভিডিও দেখে মুগ্ধ নেটিজেন। এত মুগ্ধতা কেন?
তাহলে ব্যাপারটা খুলে বলতে হয়। এতক্ষণে এটা তো বোঝা গেছে যে কাইলা ভুয়ো ইন্টারভিউর ফাঁদ পেতেছিল প্রেমিককে ধোঁকা দিয়ে হেনস্তা করতে। এর জন্য লিঙ্কডিন (Linkedin) অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সে। রীতিমতো পেশাদারি পদ্ধতিতে কর্মসংস্থানের বিজ্ঞাপন দেয়। ক’দিনের মধ্যেই কাইলার ফাঁদে পা দেয় প্রেমিক। ভাল মাইনের ভদ্রস্থ চাকরি দেখে আবেদন করে সে। বায়োডাটা পাঠায়। তার তো আর জানা নেই, কলকাঠি আসলে প্রাক্তন প্রেমিকার হাতে রয়েছে। ফলে সংস্থার কথা মতো অনলাইনে একাধিক লিখিত পরীক্ষা দেয় প্রেমিক যুবক। এভাবে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পর প্রেমিককে রিজেক্ট করে কাইলা। এখানেই শেষ নয়, এইসঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিককে একটি লম্বা প্রত্যাখ্যান পত্র পাঠায় সে।
গোটা বিষয়টা যে ভুয়ো ছিল, যুবককে হেনস্তা করার জন্যই যে একমাস ধরে একের পর এক ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, কাইলা সবটা জানায় প্রাক্তন প্রেমিককে। ওই প্রত্যাখ্যান পত্র এমনভাবে লেখা হয়েছিল, যাতে করে রাগে জ্বলে পুড়ে যায় প্রেমিক। এমনকী বলা হয়, তুমি আসলে কোনও কিছুতেই ভাল নও, যাকে বলে গুড ফর নাথিং।
টিকটক ভিডিওটির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের কাইলা জানান, “যখন প্রাক্তন প্রেমিক আমার সঙ্গে প্রতারণা করে, তখন লিঙ্কডিনের মাধ্যমে চাকরির টোপ দিই। একমাস ধরে ওর ইন্টারভিউ নিই। শেষে জানিয়ে দিই, তুমি অযোগ্য।” কাইলা আরও বলেন, “ওর রিজিউমটাও ফালতু ছিল।” কাইলায় মুগ্ধ নেটিজেনরা বলছে, অমন প্রেমিকের সঙ্গে উপযুক্ত কাজই হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.