টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার অমাবস্যায় হোমযজ্ঞকেই আশ্রয় করলেন বাঁকুড়ার মানুষ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলার বাগদি পাড়ার হঠাৎ কালীপুজো কমিটির করোনা নিধন যজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল। দুর্গাপুর, ঝাড়গ্রাম এরপর এবার বাঁকুড়ায়।
শনিবার রাতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এই হোমযজ্ঞ বাঁকুড়া শহরে ইতিমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। উল্লেখ্য, এদিনই গ্রিন জোনে থাকা প্রান্তিকেই বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকে আগত এক কিশোরের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বজুড়ে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। এখনও আবিষ্কার করা যায়নি এই ভাইরাসের প্রতিষেধক। প্রতিদিন মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। এই অবস্থায় সারা বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানালেন বাঁকুড়া শহরের কিছু মানুষ। করোনা তাড়িয়ে সারা পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলতে যজ্ঞের আয়োজন করলেন তাঁরা। মন্দিরের বাইরে ‘করোনা নিবারণে যজ্ঞ’ বলে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সকলের প্রশ্ন, এই যজ্ঞে কি আদৌ করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা সম্ভব?
প্রশ্নের উত্তরে যজ্ঞের আয়োজক দিলীপ আগরওয়াল বলেন, “সনাতন হিন্দু ধর্মে এই ধরনের সমস্যা হলে যজ্ঞের বিধান দেওয়া আছে।” এছাড়া তিনি আরও বলেন, “পুজো করতে বাধাও দেননি প্রধানমন্ত্রী। তাই এই আয়োজন।” সমাজের একদল বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এহেন কাজকর্ম অন্ধবিশ্বাস বলে মনে করছেন। করোনার চিকিৎসা না করে এরূপ অন্ধবিশ্বাস নিয়ে থাকলে সমস্যা বাড়বে এবং সমাজের ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.