জ্ঞান যত বাড়বে, তার প্রয়োগে সাফল্যের সম্ভাবনাও তত বাড়বে। লগ্নির জগতেও তার অন্যথা হয় না। লগ্নিকারীদের সুরক্ষা দিতে সরকারি উদ্যোগে ‘ইনভেস্টর এডুকেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন ফান্ড অথরিটি’-র গুরুত্ব বেড়েই চলছে। এই প্রতিবেদনে তারই তত্ত্বতালাশ করল টিম সঞ্চয়।
বিনিয়োগকারী যাতে সুরক্ষা পান সে জন্য সরকারি উদ্যোগে ‘ইনভেস্টর এডুকেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন ফান্ড অথরিটি’-র গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। তাই ‘সঞ্চয়’-এর পাঠককে এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
২০১৬ সালে গঠন করা ইনভেস্টর এডুকেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন ফান্ড পরিচালনা করাই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। এই ফান্ডের মাধ্যমে ‘রিফান্ড’- অর্থাৎ ফেরৎ করা হয় নানা ধরনের ‘আন-ক্লেমড’ ডিভিডেন্ড এবং ম্যাচিওর্ড হয়ে যাওয়া ডিপোজিট তথা ডিবেঞ্চার।
সরকার ইতিমধ্যে একটি তালিকায় কিছু সাধারণ সতর্কতার কথা জানিয়েছেন, যেগুলি পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি। এখানে প্রধানত সেই সব বিনিয়োগকারীর কথা বলা হয়েছে, যাঁরা আইপিও, রাইটস ইস্যু এবং মিউচুয়াল ফান্ডে মনোযোগ দেন।
কি কি করবেন না। দেওয়া রইল সংক্ষিপ্ত তালিকা :
১. বাজারে চালু থাকা গুজবের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।
২. কোনও ইস্যুয়ার (বা ক্যাপিটাল তুলছেন বাজার থেকে যে সংস্থা) যদি কোনও প্রতিশ্রুতি দেন, ভাল করে তা খুঁটিয়ে দেখুন।
৩. একই সেক্টরে অন্য কোম্পানির ভাল ফল আপনার বাছাই করা স্টকটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
৪. অফ-মার্কেট ট্রানজ্যাকশন সম্বন্ধে সাবধান। একইভাবে সতর্ক থাকুন তথাকথিত ‘পেনি স্টকস’-এর ব্যাপারে। প্রায়ই দেখবেন এগুলির ভীষণ বৃদ্ধি হয়েছে, যা সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয়। মোমেন্টাম-এর ভিত্তিতে কিনে নিলে বিপদের সমূহ সম্ভাবনা।
৫. মিউচুয়াল ফান্ডের ঐতিহাসিক ন্যাভ নিয়ে অহেতুক উত্তেজিত হবেন না। আগামী দিনে ট্রেন্ড একই নাও থাকতে পারে।
একই সঙ্গে লগ্নিকারীকে সেবি-র গঠন করা ‘কমপ্লেন্টস রিড্রেস সিস্টেম’ বা সংক্ষেপে Scores নিয়ে
জানাতে চাই। এটি লিস্টেড কোম্পানিগুলির ব্যাপারে প্রযোজ্য। নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে রেজিস্টার করানোর পর (প্যান, ইমেল এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে) এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারবেন। কমপ্লেন্ট বা নালিশের নানা শ্রেণিবিভাগ করা আছে, ঠিকভাবে সমস্ত তথ্য জানিয়ে এগোতে হবে। বিশদ জানতে হলে আপনাকে www.scores.gov.in দেখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.