প্রতীকী ছবি
শুরু হল আমাদের নতুন বিভাগ। এই বিভাগে জনতার ফিনান্স সম্পর্কিত নানা ধরনের সমস্যা তথা প্রশ্নের প্রতিকার তুলে ধরবেন বিশেষজ্ঞরা। দেবেন পরামর্শ, গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। এবারের অতিথি অভিজিৎ পোদ্দার
এখনকার প্রাইভেট ফার্মের চাকরিতে সদ্য যোগ দিয়েছি। আমার স্ত্রীর ছোট ব্যবসা, সেই সূত্রে কিছু রোজগার তিনিও করেন। কোন সন্তান বা ডিপেন্ড্যান্ট নেই। আমার প্রশ্ন, আমরা ১৬-১৮ বছর বাদে আনুমানিক ৩ কোটি টাকার কর্পাস সই। এই মুহূর্তে আমাদের যা আছে ৪২ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং চারটি ফান্ডে মাসিক সিগ, সব মিলিয়ে ১২,০০০ টাকা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করব না, তাই শুধু ফান্ডের কথাই বলবেন। এখন স্থায়ী রোজগার মাসে ১০,০০০ টাকা। খরচ প্রায় ৬০,০০০ টাকা। বেশি সেভ করতে চাই, তবে অনেক টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব নয়। প্রশান্ত কুমার দত্ত, বেহালা
আপনি যা লিখেছেন কেবল তার ভিত্তিতে বলতে পারি যে যথাযথ প্ল্যান এখনই করে ফেলুন। ডিপোজিট এবং ফান্ড মিলিয়েই আপনাকে তা করতে বলব আমি-স্টক মার্কেটে যদি স্বচ্ছন্দ্য না হন, তা এড়িয়ে চলতে পারেন। ভালো ইক্যুইটি ফান্ডও অনেক ক্ষেত্রে সহায় হতে পারে, তবে বুঝতেই পারছেন বাজারে কেউ গররান্টি দেবে না। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি পয়েন্ট-
আপনার ৪২ লক্ষ টাকার ডিপোজিট যদি অ্যানুয়াল ৬% হারে সুদ দেয় তাহলে ১৮ বছর বাদে তা দাঁড়াবে প্রায় ১.২০ কোটি টাকায়।
এখানে মনে রাখবেন আমি “স্থির হার” (রেট কমা-বাড়ার প্রশ্নে যাচ্ছি না) ধরে চলছি। তা কার্যক্ষেত্রে না হওয়াই সম্ভব। আপনার ফান্ডগুলি যেন যথাযথ হয়। এই বিষয়টি খুব জরুরি বলে মনে করি। অবশ্যই সিপ করতে হবে একেবারে রুটিন মাফিক, অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে। আমার হিসাবমতো মাসে ২৫,৫০০ টাকার সিপ করা প্রয়োজন। তাহলে ডিপোজিট বাবদ যা পাবেন, সেই সংখ্যাটি বাদ দিয়ে যে “শর্টফল”, তা পূরণ হবে। আমার হিসাব বলছে আপনার ক্ষেত্রে বাকি ১.৮০ কোটি টাকা যদি ১২৯ রিটার্ন দেয় ১৮ বছর ধরে, তাহলে আপনার কর্পসে পৌঁছতে পারবেন।
এইসব তো আপনার পরিকল্পনার। অঙ্গ হতেই হবে। খেয়াল রাখবেন, মুদ্রাস্ফীতি কিন্তু আপনার চিরশত্রু, তাই ইনফ্রেশনের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না। এরপর থাকবে আরও কিছু দরকারী বিষয়। নিজেদের স্বাস্থ্যবিমা ইত্যাদির কথা খেয়াল রাখবেন। এখন কি কোনও হেলথ ইনসিওরেন্স আছে? না থাকলে উপযুক্ত কভার নিন, আগামিদিনে এই বরগারটি আরও বড় ভূমিকায় থাকবে। এই নিয়ে আপনাদের সুজনকেই নিশ্চিন্ত থাকতে হবে বলে আমি মনে করি। করপিটাল মার্কেটে যোগ পাবেন যদি দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা অনুযায়ী চলেন।
আপনার ফিক্সড ডিপোজিটগুলি কি অবস্থার আছে, তা বুঝে নিন। সব কেওয়াইসি-জনিত বিষয়গুলির দিকে নজর রাখুন, নমিনেশন ইত্যাদি যেন একেবারে যথাযথ থাকে। ইক্যুইটি ফান্ডের অ্যালোকেশন কীভাবে করেছেন, তা-ও পরখ করে দেখুন। যথেষ্ট ডাইভারসিফায়েড হতে হবে আপনার পোর্টফোলিও। একাধিক ধরনের ফান্ড বেছে নেবেন, যাতে বাজারের বিভিন্ন সেক্টরে আপনার লগ্নি হড়ানো থাকে। অনেক বড় অ্যালোকেশন কেবল এক দুটি ফান্ডে করবেন না, তবে প্রয়োজনে পেশাদার পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলে সেক্টর বা থিম্যাটিক ফান্ডে লগ্নি করা উচিত হবে কি না-তা-ও জেনে নিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.