Advertisement
Advertisement
Jyoti Malhotra

পরতে পরতে রহস্য, জ্যোতির সঙ্গে এক ফ্রেমে পাক হাই কমিশনে কেক হাতে যাওয়া সেই যুবক!

যুবকের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

২৪ মার্চ অর্থাৎ পহেলগাঁও হামলার ঠিক দু’দিন পর দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের বাইরে কেক হাতে দেখা গিয়েছিল এক ‘সন্দেহভাজন’ যুবককে। কী তাঁর পরিচয়? তা নিয়ে দানা বাঁধে জল্পনা।

অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা যায়, তিনি নাকি হাই কমিশনেরই কর্মী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার সেই যুবকের সঙ্গেই দেখা মিলল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া হরিয়ানার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্রাকে। তাঁদের একটি ছবি ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানে গিয়ে জ্যোতি একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। তখনই জ্যোতি তাঁর সঙ্গে ছবি তোলেন। তাঁদের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি ওই ‘সন্দেহভাজন’ যুবকের সঙ্গেও যোগ রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের? তবে যুবকের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই জ্যোতির ব্যাপারে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ভারতীয় কিছু ‘গদ্দার’! দেশের সঙ্গে বেইমানির এই জাল ছড়িয়ে রয়েছে হরিয়ানা, পাঞ্জাবের বড় অংশে। অপারেশন সিঁদুরের পর এই উইপোকার ঢিবি ভাঙতে তৎপর গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনার তদন্তে নেমে জ্যোতির পাশাপাশি ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।