সুব্রত বিশ্বাস: ছক ভাঙার খেলাই এখন রীতি। এই নীতিতে এখন ভেঙে গিয়েছে শাস্ত্রের রীতিও। পুজো মানে এখন আর সপ্তমী থেকে নবমী নয়! প্রাক পুজোই এখন বেশি জনপ্রিয়। পুজোর নির্ধারিত তিনদিনের আগের দু’দিন কলকাতায় ঠাকুর দেখতে শহরতলির মানুষজন এসেছিলেন বেশি। রেলের দেওয়া তথ্যে তেমনটা স্পষ্ট।
শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, পঞ্চমীতে ওই ডিভিশনে কলকাতামুখী যাত্রী হয়েছিল ২১ লক্ষ। ষষ্ঠীতে ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার, সপ্তমীতে ১৯ লক্ষ ২ হাজার, অষ্টমীতে ১৭ লক্ষ, নবমীতে ১৯ লক্ষ। যাত্রী বহনে রেলের এই রেকর্ড যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী ও প্রমাণসাপেক্ষ বলে মনে করেছেন শহরতলি থেকে আসা মানুষজনই। রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, মূল পুজো অষ্টমীর দিনের থেকে ওই ডিভিশনে পঞ্চমীতে চার লক্ষ বেশি যাত্রী হয়েছিল। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান থেকে কলকাতামুখী দর্শনার্থীদের সংখ্যা এবার ছিল কম।
হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবার পুজোর দিনগুলিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল অনেক কম। এর কারণ অবশ্য তিনি জানাতে পারেননি। তবে প্রতিটি শাখায় গভীর রাতে একজোড়া করে ট্রেন চালিয়েছে হাওড়া ডিভিশন। শিয়ালদহ ডিভিশনে অবশ্য এমন নেতিবাচক বিষয় ঘটেনি বলে জানিয়েছে ডিভিশন। গত বছর ওই ডিভিশনে পঞ্চমীতে যাত্রী হয়েছিল ১৮ লক্ষ ১৫ হাজার। ষষ্ঠীতে ১৮ লক্ষ ৮৪ হাজার, সপ্তমীতে ১৮ লক্ষ ৬৬ হাজার, অষ্টমীতে ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার, নবমীতে ১৭ লক্ষ ৭০ হাজার। পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টির দাপট না থাকায় শহরতলির যাত্রীরা কলকাতায় আসতে পেরেছিলেন বেশি করে, এমনটাই মনে করছে শিয়ালদহ ডিভিশন।
পুজোর দিনগুলিতে হাওড়া, শিয়ালদহের মতো করিডরগুলিকে নিরাপদ রাখতে পুলিশি ব্যবস্থার পাশাপাশি সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করেছিল রেল। পরিচ্ছন্ন শৌচালয় রাখতে মজুত ছিলেন কর্মীরা। হাওড়া ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দু’বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকা শৌচালয়টি খুলে দেওয়া হয়েছিল যাত্রীদের জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.