ছবিতে তিস্তা পারে কাশের বনে সেলফি তোলায় ব্যস্ত যুগল।
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা ভাসছে। মাটিতে কাশফুলের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে পুজো আসছে। উমা আসছেন জলপাইগুড়ির তিস্তাপারে। মন বলছে, ‘একটা সেলফি হয়ে যাক!’ অন্তত সেই আবহেই এখন সেজেছে তিস্তাপার। ভিড় বাড়ছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের।
কাশবনের আলপথে দিদির হাত ধরে রেলগাড়ি দেখতে ছুটছে অপু। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে এলে ‘পথের পাঁচালী’র সেই মন মাতানো দৃশ্য আপনার মনে পড়ে যেতে বাধ্য। তবে এখানে রেল গাড়ি নেই। আছে নদীর চর। পলির পরতে ছোট হয়ে আসা নদী। নদীপথে ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে নৌকা। দু’পারে ঘন কাশের বন। এখানে দুর্গারা অনেকটাই বড়। তারা সেলফি তোলে। অপু এখানে প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়। ব্যাকগ্রাউন্ডে কাশের বন।
ঘুরতে আসা আনন্দচন্দ্র কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নন্দিতা রায়ের কথায়, ‘আসলে কাশবন তিস্তাপারের ল্যান্ডস্কেপকেই বদলে দিয়েছে। যার টানে সারা বছর অপেক্ষায় থাকা। সেই টানেই যেন ছুটে আসা।’ এখন গোটা নদীপথ জুড়েই শুধু দোদুল্যমান কাশফুলের উপস্থিতি। কাশের দোলায় পুজোর আগে তিস্তাপারে চলছে ভালবাসার মহড়া চলছে। মাইলের পর মাইলজুড়ে শুধু কাশফুলের মেলা। যেন আগমনীর সুর তুলেছে প্রকৃতি। একসময় এই কাশ বনেই লুকিয়ে থাকত বাঘ। আজ বাঘ নেই। তবে সেই কাশবন এখনও আছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে নিজের মতো করে সেলফি জোন সাজিয়ে দিয়েছে। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ব্যাকড্রপ। একই সঙ্গে নদী আর কাশফুল। তিস্তাপারের এই প্রাকৃতিক শোভায় সেলফি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে সাধারণ পর্যটকও। অবসরে একটু সময় কাটানো। পুজোর আবহে তা যেন বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। এখানে আসার পর মন বলতে বাধ্য, দেবীপক্ষের আগেভাগে পুজো পুজো এই আবহে একটা সেলফি হয়ে যাক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.