সুব্রত বিশ্বাস: আভরণের খামতি নেই। তবে দেখার মানুষ নেই। হাওড়া, শিয়ালদহের (Sealdah) মতো ব্যস্ত স্টেশন আজ পুজোর দিনেও ফাঁকা। দূরপাল্লার কিছু ট্রেন চললেও লোকাল ট্রেন চলল না পুজোয়। ফলে কার্যত জনমানবশূন্য। শূন্যতার মাঝেও স্টেশনের আভরণে খামতি রাখেনি রেল। প্রতিবারের মতো এবারও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে দুই স্টেশনকে।
হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) ফ্যাসেড আলোয় জাতীয়তাবোধকে তুলে ধরতে বিল্ডিং তিনবর্ণের আলোকের ঝর্ণা ধারায় ভাসছে। আলোক মালায় দেবী দুর্গার প্রতীকের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ঢাক আর কাঁসরের মেলবন্ধনে পুজোর আবাহন বরাবরের মতো সেজে উঠেছে।
শিয়ালদহ স্টেশনও প্রায় একইভাবে সেজে উঠেছে।
পুজোর আগেই দুই স্টেশনে নানা পরিষেবা ও সৌন্দর্যায়ন ঘটানো হয়েছে। তবুও দেখার কেউ নেই। প্রতিবার পুজোয় সেজে ওঠে লোকাল ট্রেনগুলি। আলো ও দেবীর মুখাবয়ব ট্রেনের গায়ে গায়ে ঝুলতে দেখা যেত। এবার সেই লোকাল ট্রেনই কারশেডে পড়ে রয়েছে জঙ্গল ঘেরা অবস্থায়। হাওড়া, শিয়ালদহের ডিআরএম ইশাক খান ও এসপি সিং জানান, দেখার মতো যাত্রী নেই। তবু উৎসব বলে কথা। প্রতিবারের মতোই আলোয় সাজানো হয়েছে স্টেশন।
প্রতিবার এই সময়ে নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন জিআরপি, আরপিএফ। এবার লোকাল ট্রেন না চলায় সেই তৎপরতা নেই। টিকিট পরীক্ষক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বুথ করে যাত্রীদের সহযোগিতায় হাজির থাকে প্রতি বছর। এবার যাত্রী না থাকায় তার প্রয়োজন নেই। তবে মদের চোরাচালান রুখতে বিশেষ নজরদারি চলছে। দুষ্কৃতীদের উপর নজর রাখা হয়েছে। যাত্রী উপযুক্ত না থাকায় ফুড স্টল থেকে প্লাজা সবই বন্ধ। তবুও সবাই চাইছে, স্তব্ধ হোক শূন্যতার চেহারা। ফিরে আসুক আগের চেহারায়। তাই মায়ের আগমনে খামতি রাখা চলবে না আয়োজনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.