সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশমী মানেই সর্বত্র বিদায়ের সুর। উমা সেদিন কৈলাস রওনা দেন। কিন্তু এদিনেই দুর্গার আরও এক রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা। বিসর্জনের পর হয় বোধন। শারদীয়ার পর পুজিত হন দেবী অপরাজিতা। ‘অপরাজিতা’ দেবী দুর্গারই অন্য রূপ।
বিজয়লাভের সঙ্কল্প নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। শোনা যায়, আগেকার দিনে নবরাত্রির পর রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমী। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা। তার অবশ্য কিছু কারণ ছিল। প্রথমত, চাণক্য বা কৌটিল্য তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’ অনুযায়ী এই সময়টাই যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময়। পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা যদি দশমীর পর যাত্রার সূচনা করেন, তাহলে তার জয় হয় না। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিন যাত্রা করতেন রাজারা। আর বিজয়লক্ষীকে বরণের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। যে ধারা আজও বর্তমান।
কীভাবে হয় এই পুজো?
সাদা অপরাজিতা গাছকে এদিন পুজো করা হয়। গাছটিকে দেবীরূপে কল্পনা করে পুজো করা হয় ফুল, বেলপাতা দিয়ে। অনেকে আবার ঘটস্থাপন করেও পুজো করেন। পুজোর ফল লাভের জন্য হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধার রীতিও রয়েছে। এদিন দেবীর কাছে প্রার্থনা জানানো হয়, দেবীর কাছে প্রার্থনা জানানো হয়, ‘‘হে অপরাজিতা দেবি, তুমি সর্বদা আমার বিজয় বর্ধন কর। আমার মঙ্গল ও বিজয় লাভের জন্য আমি দক্ষিণ হাতে তোমাকে ধারণ করছি। তুমি শত্রু নাশ করে নানা সমৃদ্ধির সহিত আমাকে বিজয় দান কর। রামচন্দ্র যেমন রাবণের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন, আমারও যেন সেইরূপ জয় লাভ হয়।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.