ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উলটো রথ। ৮ দিন মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে কাটিয়ে বাড়ি ফেরার পালা। আষাঢ় মাসের দশমী তিথিতে শ্রীক্ষেত্রে ফিরে আসেন তিন দেব-দেবী। এই যাত্রা ‘বহুদা যাত্রা’ নামেও পরিচিত। তবে মন্দিরের সামনে এসেও তিনদিন গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারেন না জগন্নাথদেব। কিন্তু কেন? কী হয় এই তিনদিন। কোথায় থাকেন জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম?
কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফিরে সহজে জগন্নাথদেব (Jagannath Deb), বলরাম ও সুভদ্রা মূল মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পান না। কারণ তাঁরা দেবী লক্ষ্মীকে শ্রী মন্দিরে একা রেখেই মাসির বাড়িতে গিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন। তাই অভিমানী দেবী সটান মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। সেই থেকে টানা তিনদিন দরজার সামনেই অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। আর এই দিনগুলোতেই হয় বিভিন্ন উৎসব।
কেন মন্দিরের বাইরে দিন কাটাতে হয়, তা তো বোঝা গেল। কিন্তু এই দিনগুলি কী হয়? রীতি অনুযায়ী, মন্দিরের সামনে তিনদিনই মহাউৎসব পালন হয়। উলটো রথের দিন সুনাবেশে পুজো করা হয় অর্থাৎ সোনা দিয়ে সাজানো হয় তিন দেব-দেবীকে। দ্বিতীয় দিন পালন করা হয় অধরপনা। তৃতীয় দিন হয় রসগোল্লা উৎসব বা নীলাদ্রি ভেজ।
সুনা বেশ: একাদশ তিথিতে উলটো রথের দিনে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামকে সুনার বেশ বা সোনার বেশভূষায় সাজানো হয়। সোনার অলঙ্কারে সাজিয়ে রথেই হয় তাঁদের আরাধনা। এরই নাম ‘সুনা বেশ’। এবার সুনা বেশ পালন করা হবে ১৬ জুলাই।
অধরপনা: সুনা বেশের পরের দিন দ্বাদশীর দিন হয় অধরপনা উৎসব। কী এই অধরপনা? এই রীতি অনুযায়ী দ্বাদশীর দিন সন্ধ্যা বেলায় জগন্নাথদেবকে সরবত খাওয়ানো হয়।
রসগোল্লা উৎসব: ত্রয়োদশীর দিন পালন করা হয় এই উৎসব। জগন্নাথ দেবকে কয়েকশো হাঁড়ির রসগোল্লা ও ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিনদিনের ‘সাজা’। তৃতীয় দিনেই মূল রত্নবেদীতে তোলা হয় বলরাম, জগন্নাথ, সুভদ্রাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.