সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের প্রভাবে দূষণ কমেছে বিশ্বজুড়ে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। নীল হয়েছে যমুনার জল। জলন্ধর থেকে দেখা যাচ্ছে হিমালয়। গঙ্গার জলও এখন দূষণমূক্ত। সম্প্রতি মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, উত্তর ভারতের বায়ুদূষণ লকডাউনের কারণে এতটাই কমে গিয়েছে যা গত ২০ বছরে হয়নি। নাসার স্যাটেলাইট সেন্সর বাতাসে ধূলিকণার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছে।
নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ইউনিভার্সিটিস স্পেস রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞানী পবন গুপ্ত বলেছেন, “আমরা জানতাম লকডাউনের প্রভাবে অনেক জায়গায় বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন হবে। কিন্ত এত স্পষ্টভাবে দেখতে পাব, ভাবিনি। বছরের এই সময়টায় আমি কখনও ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে ধূলিকণার মাত্রা এত কম দেখিনি।” দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার কার্যকরী সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যালিস জি ওয়েলস জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর নাসা বসন্তকালে এই উপগ্রহচিত্র তোলে। কিন্তু গত ২০ বছরে এত দূষণমুক্ত বায়ুমণ্ডল দেখা যায়নি। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য ও মানচিত্র অনুযায়ী এত স্বচ্ছ্ব পরিমণ্ডল দেখা যায়নি যা এ বছর উপগ্রহ চিত্র ধরা পড়েছে।
২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন, তা এখনও চলছে। ফলে বাস, ট্রাক থেকে শুরু করে বন্ধ আকাশপথও। সেই কারণে বাতাসে বাড়তে পারেনি ধূলিকণা। তার উপর ২৭ মার্চের আশপাশে উত্তর ভারতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়। ফলে ধূলিকণা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু তারপর লকডাউন চলতে থাকায় নতুন করে ধূলিকণার ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়নি। প্রতি বছর দূষণের কারণে এই ধূলিকণা বাতাসে বৃষ্টি পায় যার ফলে মানুষের ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এবছর সেই সম্ভাবনাও অনেকটাই কম। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে কিন্তু ধূলিকণার মাত্রা এখনও উত্তর ভারতের মতো কমেনি বলেই জানাচ্ছে উপগ্রহ চিত্র। বরং গত চার বছরের তুলনায় তা অল্প বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এর কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সাম্প্রতিক আবহাওয়ার ধরন, কৃষিক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড, বায়ুপ্রবাহ বা অন্য কোনও কারণ এর পিছনে থাকতে পারে বলে অনুমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.