সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্ল্যাক হোল। মহাকাশের অনন্ত বিস্ময়। যাকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ আকাশছোঁয়া। তবে এদের খোঁজ পাওয়া সহজ নয়। বিশেষ করে ক্ষুদ্রাকৃতি তথা বামন কোনও ছায়াপথে সেটা আরও কঠিন। কিন্তু ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক রাগাদীপিকা পুচা সেই অসাধ্যসাধন করেই তাক লাগিয়ে চলেছেন।
উটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল গবেষক রাগাদীপিকা। তিনি অ্যারিজোনায় অবস্থিত জ্যোতির্বিজ্ঞান-যন্ত্র ‘ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কপিক ইনস্ট্রুমেন্ট’ তথা DESI-র সাহায্যে এই কাজ করে চলেছেন। এই যন্ত্রের কাজ ব্রহ্মাণ্ডের প্রসারণে ডার্ক এনার্জির প্রভাব নির্ধারিত করা।
রাগাদীপিকার টিম ইতিমধ্যেই বামন ছায়াপথগুলির ভিতরে অবস্থিত ২ হাজার ৫০০ কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পেয়েছে। পাশাপাশি আরও শ’তিনেক মধ্যবর্তী ভরের কৃষ্ণগহ্বরও খুঁজে পেয়েছেন ওই গবেষকরা। এখনও পর্যন্ত কোনও গবেষক দল এতগুলি ব্ল্যাক হোল খুঁজে পায়নি।
উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে আরও নিখুঁত ভাবে জানতে সারা পৃথিবীতেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। মিলছে নিত্যনতুন তথ্য। নাসা একটি ভিডিও শেয়ার করেছিল কয়েক মাস আগে। যার মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বরে সফর করে আসা যাবে। সেখানেই দেখা গিয়েছিল, যত কাছে পৌঁছনো যাবে তত তারার ঔজ্জ্বল্য ও গ্যাসের ঘুরন্ত ডিস্কের সৌজন্য কৃষ্ণগহ্বর উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে। তার পর যখন ব্ল্যাক হোলের ভিতরে প্রবেশ করে ক্যামেরা, মনে হতে থাকে এ এক অনন্ত পথ। ব্ল্যাক হোলের দিগন্তকে বলা হয় ইভেন্ট হরাইজন। যত সেদিকে এগোতে থাকে ক্যামেরা, তত যেন শ্লথ হয় গতি। একসময় মনে হয় সব যেন স্থবির হয়ে গিয়েছে। বছরখানেক আগে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে ব্ল্যাক হোল। খোঁজ মিলেছে ‘ঘুমন্ত’ ব্ল্যাক হোলেরও। আরও নানা বিস্ময় নিয়ে মহাকাশে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছে কৃষ্ণগহ্বর। আর তাদের চিনতে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। এবার নজর কাড়লেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক। নিরন্তর কালো আকাশের বুকে যিনি খুঁজে চলেছেন ব্ল্যাক হোলগুলিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.