সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিলকে ‘নিষ্ঠুরতম মাস’ বলেছিলেন টি এস এলিয়ট। এবারের এপ্রিলকে ‘উষ্ণতম’ বলে জানিয়ে দিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশ সংক্রান্ত বিভাগ। তাদের দাবি, রেকর্ড গরম, বৃষ্টি ও বন্যার কবলে পড়ে বিশ্বের বহু দেশেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে এমাসে। গত ১১ মাস টানা উষ্ণতার রেকর্ড ভেঙে চলেছে পৃথিবী। আর এর পিছনে ভিলেন এল নিনো ও মানুষের সৃষ্টি করা জলবায়ু পরিবর্তন।
কী বলছে বুধবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান? জানা যাচ্ছে, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ পর্যন্ত তাপমাত্রার যে গড় তার থেকে এপ্রিলের তাপমাত্রা ছিল দেড় ডিগ্রিরও বেশি। এবারের এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৫.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার ১৯৯১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত গড় তাপমাত্রার চেয়েও তা ০.৬৭ ডিগ্রি বেশি। ২০১৬ সালের এপ্রিলের রেকর্ড তাপমাত্রাকেও ০.১৪ ডিগ্রিতে হারিয়ে দিয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিল।
কেন এবারের এপ্রিল এমন সাংঘাতিক ‘উষ্ণ’? এর পিছনে অন্যতম ‘ভিলেন’ সেই বহু আলোচিত এল নিনো। যা এবছরের শুরুতেই একেবারে চুড়োয় উঠেছিল। তবে এখন অবশ্য সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। কিন্তু এল নিনোর এভাবে আসাযাওয়ার ধাক্কায় যে অতিরিক্ত ‘এনার্জি’ উদ্ভূত হয় তা ফেঁসে যায় সমুদ্রে। এবং তারই ফলশ্রুতি গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বৃদ্ধি। যার ধাক্কায় তাপমাত্রা হু হু করে বেড়ে নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। এদিকে ওই এল নিনোর (El Nino) কারণেই এবার ভারতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হবে বলেও জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল ১৭৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল। কিন্তু সেই নজির ‘সবে তো কলির সন্ধে’ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের দাবি এল নিনো যা ‘খেল’ দেখিয়েছে, তার জেরে ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের মধ্য ও পূর্ব অঞ্চলে তাপমাত্রা দাপাতে শুরু করেছে। ফলে ২০২৪ গড়তে পারে নয়া রেকর্ড। এমনই আশঙ্কা ক্রমে বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.