সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড়সড় গ্রহাণু। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ (ভারতীয় সময়) এটি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার কথা। এর আকার একটি বড় পাথরের মতো। বিশেষজ্ঞরা এই গ্রহাণুর নাম দিয়েছেন গ্রহাণু ১৬৩৩৭৩ (২০০২ PZ ৩৯)। পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। এমনকী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ, গ্রহাণুটি প্রায় ৫৪ হাজার ৭১৭ কিলোমিটার বেগে ভ্রমণ করছে। এর আকার এতটাই বড় যে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় ইমারত বুর্জ খালিফাও এক কাছে নস্যি। একে ‘সম্ভাব্য ক্ষতিকারক গ্রহাণু’ বা PHA হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে মারাত্মক কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। সুনামি বা তীব্র ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে পারমাণবিক বিস্ফোরণে যেমন ক্ষতি হয়, ততটাই ক্ষতি হতে পারে। এবং তার ফলে বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটা অসম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, বহুযুগ আগে এমনই এক গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটেছিল।
যদিও এই গ্রহাণু যে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বেই, তা নিশ্চিত করছেন না কেউই। কারণ, সূর্যের চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে যখন পৃথিবীর কাছে আসবে তখন পৃথিবী থেকে ওই গ্রহাণুর দূরত্ব থাকবে ৩.৬ মাইল। তাই সংঘর্ষের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু যদি গ্রহাণু কোনওভাবে গতিপথ পরিবর্তন করে, তাহলে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতেও পারে গ্রহাণু ১৬৩৩৭৩। আর তা যদি হয়, তবে মানবজাতি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে জানিয়ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর একাধিক গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সংঘর্ষ হয়নি। কোনও ক্ষতি হয়নি পৃথিবীর। আর মানবসভ্যতা ধ্বংসের আশঙ্কার কথাও উঠেছিল। গুজব ছড়িয়েছিল, ১৯ নভেম্বর ২০১৭ সালেই পৃথিবীতে মানবজাতির শেষদিন। ওই দিনই ‘নিবিড়ু’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’ নামে একটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে পৃথিবীর। কিন্তু বাকি সব কিছুর মতো এটিও মিথ্যে প্রমাণিত হয়। ওই বছরই ১৫ অক্টোবর পৃথিবীর শেষের দিন, এমন গুজবও ওঠে। কিন্তু ভুল প্রমাণিত হয় তাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.