ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রায় সব সময়ই আতঙ্কে দিন কাটে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দাদের। এই বুঝি দলমার দাঁতাল হানা দিল এলাকায়। নষ্ট করল মাঠের ফসল। কিংবা কারও জন্য হয়ে উঠল প্রাণঘাতী। দুশ্চিন্তায় যেন জেরবার হয়ে যান তাঁরা। এবার তাঁদের কথা ভেবেই বিশেষ যানের বন্দোবস্ত করল বনদপ্তর। ‘ঐরাবত’ নামক একটি গাড়ির সাহায্যেই তাড়ানো হবে হাতি (Elephant)।
কীভাবে কাজ করবে ‘ঐরাবত’? বনদপ্তর সূত্রে খবর, হাতির হানার খবর পাওয়ামাত্রই ‘ঐরাবত’ যানে চড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন বনকর্মীরা। তার ফলে খুব তাড়াতাড়ি হাতির পালকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। সাধারণত হুলা পার্টি মশাল জ্বালিয়েই হাতির পালকে তাড়ায়। ‘ঐরাবত’ও ঠিক সেভাবেই মশাল জ্বালিয়ে হাতিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জঙ্গলে পাঠিয়ে দেবে। বুধবার ‘ঐরাবত’ যানের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।
আউশগ্রামের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি মূলত কৃষিনির্ভর। তাই মরশুমের বিভিন্ন সময়ে কিছু না কিছু চাষ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ সেই চাষের খেতই চোখের নিমেষে হয়ে যায় সাবাড়। নষ্ট হয়ে ফসল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো রয়েছে তার সঙ্গে কারণ হিসাবে হাতির উপদ্রবকেও কম গুরুত্ব দেওয়া যাবে না।
স্থানীয়দের দাবি, প্রায়শই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে দাঁতাল। কিছু ফসল পেটে যায় হাতির। আর কিছু ফসল তাদের দাপাদাপিতেই নষ্ট হয়ে যায়। হুলাপার্টির বন্দোবস্ত রয়েছে। তারা দলমার দাঁতালদের তাড়ানোর অনেক চেষ্টা করে। কখনও সফল হয়। আবার কখনও হাতি তাড়ানোর আগেই নষ্ট হয়ে যায় বাড়ি, ফসল। সব মিলিয়ে সমস্যা নিয়েই দিনযাপন করতে হয় আউশগ্রামের বাসিন্দাদের। ‘ঐরাবত’ই এবার তাঁদের সুদিন ফেরাবে বলেই আশা আউশগ্রামের বাসিন্দাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.