সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত হারে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীর আগামী দিনে অপেক্ষা করে রয়েছে বড় বিপদ। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা এমনই থাকলে ২১০০ সালের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর (Global Sea Level) উঠে আসতে পারে ৩৮ সেন্টিমিটার বা ১.২৫ ফুট। এমনই ভয়ের কথা শোনাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)।
‘ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) ২০১৯’-এর স্পেশ্যাল রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছিল। এই অনুসন্ধানটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ক্রায়োস্ফিয়ার’-এ। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের নেতৃত্বে ‘আইস শিট মডেল ইন্টার কমপ্যারিজন প্রজেক্ট (আইএসএমআইপি৬)’-এর তথ্যের ভিত্তিতে ওই আশঙ্কা করা হয়েছে।
ওই গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির মোট হারের এক-তৃতীয়াংশই বরফ গলে যাওয়ার দরুণ। আইপিসিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০০-২১০০-র মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর ৮ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার বাড়বে কেবলমাত্র গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলার জন্য। এছাড়া আন্টার্কটিকার বরফ গলার জন্য জলস্তর বাড়তে পারে ৩ থেকে ২৮ সেন্টিমিটার।
অন্যতম গবেষক বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোফি নোউইকি জানাচ্ছেন, আগামী দিনে সমুদ্রের জলস্তর কতটা বাড়বে তা নির্ভর করছে মেরু অঞ্চলের বরফ কত দ্রুত গলবে তার উপর। এদিকে অন্য এক গবেষক উট্রেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেইকো জানাচ্ছেন, আইএসএমআইপি৬-র উদ্দেশ্যই হল সারা পৃথিবীর সমুদ্র এবং বায়ুমণ্ডলীয় মডেলারগুলিকে একছাতার তলায় নিয়ে আসা। যাতে বরফের চাঙরগুলির কী হল সেটা ভাল করে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বায়ুর তাপমাত্রা বাড়ার জন্যই মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে। পাশাপাশি সমুদ্রের তাপমাত্রাও দ্রুত বাড়তে থাকায় সমুদ্র সংলগ্ন হিমবাহগুলি গলছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গ্রিনল্যান্ডের বরফ চাঙরগুলি। সেগুলি খুব তাড়াতাড়ি গলতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.