প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা আকছার ঘটছে অসমে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট ‘এলিফ্যান্ট করিডর’গুলিতে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ থাকলেও, তা বহু ক্ষেত্রেই মানা হয় না বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় জনতার চাপে শেষমেশ হস্তিনী ও শাবকের ‘হত্যাকারী’ একটি ট্রেন ইঞ্জিন বাজেয়াপ্ত করেছে অসমের বনদপ্তর।
অসমের লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে পার হয়েছে রেলের লাইন। রাজধানী গুয়াহাটি থেকে রাজ্যের অপরপ্রান্ত ডিব্রুগড় ও বরাক উপত্যকা পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রুটটি গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় লাইনের উপর দিয়েই হাতিদের চলাচল করতে হয়। বনদপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই এলাকায় মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি হস্তিনী ও সেটির শাবকের। তারপরই বেনজিরভাবে ওই ট্রেনের ইঞ্জিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই বিষয়ে অসমের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, “রেলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক বনদপ্তর। রেল লাইনে হাতিদের হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত।”
অসমের বনবিভাগের শীর্ষকর্তা মহেন্দ্র কুমার যাদব জানান, সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ মালগাড়ির ঢাকায় লামডিংয়ে হস্তিনী ও শাবকের মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মর্মে অক্টোবরের ২০ তারিখ গুয়াহাটির বামুনিমইদাম রেল শেড থেকে ডিজেল ইঞ্জিনটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তিনি আরও জানান, রেলের কাছে একটি চিঠি দিয়ে ‘এলিফ্যান্ট করিডর’গুলিতে ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা রাখার আবেদন করা হয়েছে। এদিকে, উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ জানিয়েছেন, বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনটিকে পরীক্ষা আধঘণ্টা পরীক্ষা করা হয়। তারপর ফের সেটিকে কাজে বহাল করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.