ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যজুনে ভারতে ভয়ংকর আকার ধারণ করবে নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হবেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন চিনের বিশেষজ্ঞরা।
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকেই দেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। রোজই অতীত রেকর্ড ভেঙে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। আনলক ওয়ানে সেই সংখ্যা আরও বেশি করে নজরে পড়েছে। কারণ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত পেরিয়েছে আট হাজারের গণ্ডি। এমনকী বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৯ হাজারে। সংখ্যাটা কম হওয়া তো দূর, এটিও ধরে রাখা যাবে না। বরং আর কয়েকদিনের মধ্যেই তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। জুনের মাঝামঝি সময় থেকে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি হবে।
বিশ্বের ১৮০টি দেশের কোভিড পরিস্থিতি দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য চিনের লানঝাউ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে ‘গ্লোবাল কোভিড-১৯ প্রেডিক্ট সিস্টেম’ (Global Covid-19 Predict System)। সেখানকার গবেষকরাই প্রতিদিন সংক্রমণের হারের পূর্বাভাস দেন। যেমন তাঁরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার ভারতে কোভিড আক্রান্ত হবেন ৯,২৯১ জন। বুধবার সকালে দেওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য কিন্তু তার অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সংক্রমিত ৮,৯০৯ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞের দল ভারতে আগামী চারদিনের করোনা গ্রাফ প্রকাশ করেছে। যে মডেলে দেখা যাচ্ছে, বুধবার থেকে চারদিন আক্রান্ত হবেন যথাক্রমে ৯,৬৭৬, ১০,০৭৮, ১০,৪৯৮ এবং ১০,৯৩৬ জন। আর মধ্যজুনে তা ছাড়াবে ১৫ হাজারের গণ্ডি।
লানঝাউ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হুয়াং জিয়ানপিং বলেন, “আমরা জানিয়েছিলাম, ২৮ মে ভারতে ৭,৬০৭ জন আক্রান্ত হবেন। জানা গিয়েছিল, সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭,৪৬৭। যা প্রায় কাছাকাছি। আমাদের পূর্ভাবাস আগামিদিনে আরও সঠিক হবে।” লকডাউন শিথিলই কি এর জন্য দায়ী? বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। জনসংখ্যা, কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি আবহাওয়া ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। ভারতের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা একটা বড় ফ্যাক্টর। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব না মানার জন্য ভাইরাস নিজের দাপট দেখাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ইতিমধ্যেই দেশে সংক্রমণের সংখ্যা দুই লক্ষ ছাড়িয়েছে। সুস্থ হওয়ার হার সন্তোষজনক হলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে দেশবাসীকে। তারই মধ্যে চিনের বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.