সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্ল্যাক হোল (Black Hole)। ভালো বাংলায় যার নাম কৃষ্ণগহ্বর। মহাশূন্যের এই অতিকায় ‘সর্বভুক’ মহাজাগতিক বস্তুটির কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঘন কালো এক শরীর। কিন্তু এবার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ খুঁজে পেল এমন এক ব্ল্যাক হোল, যার কিনার ঘেঁষে টকটকে লালের আধিক্য!
কিন্তু কী করে এমন লাল বর্ণ ধারণ করল ওই কৃষ্ণগহ্বর? বিজ্ঞানীদের অনুমান, পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই ব্ল্যাক হোলের সামনে রয়েছে মোটা গ্যাস ও ধুলোর আস্তরণ। আর তারই কারসাজিতে ‘মহাকাশের রক্তখেকো’ হয়ে উঠেছে কৃষ্ণগহ্বরটি। বিখ্যাত ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্র। ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির মুহূর্তে যে মহাবিস্ফোরণ তথা বিগ ব্যাং (Big Bang) ঘটেছিল তার থেকে ৭০ কোটি বছর পরে সৃষ্টি হয়েছিল এটির। অর্থাৎ মহাজাগতিক অর্থেই এটি ব্রহ্মাণ্ডের ‘শিশু’ অবস্থার সাক্ষী। অতিকায় এই ব্ল্যাক হোলটি এতই বড়, এর ভিতরে এঁটে যাবে ৪ কোটি পৃথিবী!
উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে আরও নিখুঁত ভাবে জানতে সারা পৃথিবীতেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। মিলছে নিত্যনতুন তথ্য। বছরখানেক আগে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে ব্ল্যাক হোল। মাঝে মাঝেই তাদের মহাজাগতিক খিদের দর্শনও পান তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.