সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে জেলায় জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে প্রায় ১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল দুর্যোগের কারণে নষ্ট হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। কিন্তু জেলার কৃষকদের জন্য ‘অভিশাপ’ হলেও এই ঘূর্ণিঝড়ই স্বস্তি বয়ে এনেছে কলকাতার হাঁপানি ও অ্যালার্জির রোগীদের জন্য। কীভাবে?
আসলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হওয়া ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ছাতিম গাছের (যার বিজ্ঞানসম্মত নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস) কড়া গন্ধযুক্ত ফুল ঝরিয়ে দিয়েছে। ফলে হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের অসুখে ভোগা মানুষরা বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। জহরলাল নেহরু রোড, বাগবাজার স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড কিংবা সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের মতো এলাকায় রয়েছে কয়েক দশকের পুরনো ছাতিম গাছও।
সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ছাতিম ফুলের গন্ধ ভেসে থাকে বাতাসে। অনেকেই তা উপভোগও করেন। আবার যাঁদের হাঁপানির কষ্ট রয়েছে, তাঁরা অত্যন্ত শারীরিক কষ্টে ভোগেন। বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে সমস্যা হয়। শ্বাসকষ্টে কাবু হয়ে পড়েন অনেকেই। কিন্তু এবার তাঁরা কার্যতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। ছাতিম গাছকে অনেকেই ‘শয়তানের গাছ’ও বলে থাকেন। কিন্তু এবার তার সব দৌরাত্ম্য রাতারাতি বন্ধ করতে পেরেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। সেই সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কলকাতাতেও আছড়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার ‘ডানা’র প্রভাব সেভাবে পড়েনি মহানগরে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হলেও ঝড় কিন্তু সেভাবে লক্ষ করা যায়নি। তবে বৃষ্টির কারণে জলের তলায় চলে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতায় বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে পড়েছিল গাছও। তবে বৃষ্টি কমতেই দ্রুত সরে গিয়েছে জল। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.