সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনও গ্রহে কি রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব? এই জিজ্ঞাসা বহুদিনের, যার উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি শুক্রগ্রহ এ বিষয়ে আশা জাগিয়েছিল। শুক্রের মেঘে ফসফিন যৌগের সন্ধান পেয়ে তা প্রাণধারণের উপযোগী বলে মনে করছিলেন গবেষকরা। সেই গবেষণায় জোর দিয়ে আরও কিছু নতুন তথ্য হাতে এল। তাঁদের দাবি, শুক্রগ্রহে (Venus) তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন প্রাণের অনুকূল পরিবেশ। তাঁদের সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ গবেষণাপত্রে।এবার মিলল নাসার (NASA) এক পুরনো এক নথি। সেই নথি থেকে আরও জোরালো হল শুক্রে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা।
ক্যালিফোর্নিয়ার এক জীববিজ্ঞানী রাকেশ মোগুলের দাবি, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পুরনো নথি ঘেঁটে তিনি ও তাঁর সহকারীরা জানতে পেরেছেন ১৯৭৮ সালেই শুক্রে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল নাসা। প্রসঙ্গত, ফসফরাস ও হাইড্রোজেন মিশে এই রাসায়নিক যৌগ তৈরি হয়। পৃথিবীতে কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিক ভাবেই ফসফরাস ও হাইড্রোজেনের মিলন ঘটিয়ে এই গ্যাস তৈরি করে।
শুক্র-পৃষ্ঠের ৫০ কিলোমিটার উপরে জমাট মেঘের মধ্যে এই বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি এই গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্রাণ থাকলেও তারা অণুজীব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের মধ্যে প্রাণের সন্ধান বহুদিন ধরেই করা হচ্ছে। কখনও মঙ্গল, কখনও বা শনি, বৃহস্পতির কোনও কোনও উপগ্রহকে ঘিরে আশা জেগেছে। কিন্তু উষ্ণ ও বিষাক্ত গ্রহ শুক্রে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভবই নয় বলে ধারণা ছিল। এবার সেই গ্রহ ঘিরেই জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা জেগে উঠল।
যদিও গবেষকরা জানাচ্ছেন, শুক্রে প্রাণের ব্যাপারে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ সময় ধরে রাসায়নিক ও ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হবে। তবে শুধু ফসফিনই শুক্রে প্রাণ ধারণের অনুকূল পরিবেশের পক্ষে যথেষ্ট উপযোগী কি না, তার কিনারা করতে এখনও বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.