প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের বলে এখন মাতৃজঠরে নতুন প্রাণের জন্ম-প্রক্রিয়াও রুখে দেওয়া সম্ভব সাময়িকভাবে! এই প্রক্রিয়ার নাম এমব্রায়োনিক ডায়াপজ। অর্থাৎ প্রজনন প্রক্রিয়ারও রয়েছে ‘পজ বাটন’। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর ফলে আগামিদিনে আইভিএফ অর্থাৎ ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় শিশুজন্মের সাফল্যের হার আরও বাড়বে।
ঠিক কী জানা গিয়েছে? সাধারণত জরায়ুর প্রাচীরে নিষিক্ত ভ্রুণের ‘ইমপ্ল্যান্টেশন’ অর্থাৎ রোপণ ঘটলে তার পরই নতুন প্রাণের জন্মক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কিন্তু ভিয়েনায় অবস্থিত অস্ট্রিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর ইনস্টিটিউট অফ মলিকিউলার বায়োটেকনোলজি এবং বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ‘ইমপ্ল্যান্টেশন’ প্রক্রিয়াকেই সাময়িকভাবে কিছু সময় আটকে দেওয়া যেতে পারে। কিংবা ‘পজ’ করা যেতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, কেন এমনটা করা হবে?
‘পজ’ করে কী হবে? বিজ্ঞানীদের উত্তর, ভ্রুণের স্বাস্থ্য উন্নত করা থেকে শুরু করে তার সুস্থ বিকাশের জন্য আদর্শ পরিবেশ যাতে গড়ে তোলা সম্ভব হয়, যার মাধ্যমে আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশুজন্মের সাফল্যের হার আরও বাড়ে, আরও ভালো হয়–তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে ওই থেমে থাকা সময়ের মধ্যে। এই সাময়িক থেমে থাকাকেই বলা হচ্ছে ‘এমব্রায়োনিক ডায়াপজ’, যা ঘটে ব্লাস্টোসিস্ট সাইকেল চলার সময়, অর্থাৎ জরায়ুর প্রাচীরে ভ্রুণের সংযুক্ত হওয়ার ঠিক আগের সময়টুকুতে। এই ‘ইন্টারভ্যাল’ সময় ধরে ভ্রুণটি মুক্তভাবে গর্ভাশয়ের ভিতরেই ঘুরে বেড়ায়। যখন বিজ্ঞানীদের মনে হয়, সঠিক সময় সমাগত এবং সমস্ত শারীরবৃত্তীয় মাপকাঠি ঠিকঠাক আছে, তখনই ‘ডায়াপজ’ থামিয়ে বাকি পদক্ষেপ করা হয়। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি জার্নাল সেলে। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় অন্যতম ‘রেগুলেটর’ তথা নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে ‘mTOR পাথওয়ে।’বিজ্ঞানের এই নয়া আবিষ্কারে শুরু হয়েছে জল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.