সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মান্ধাতা আমলের তৈরি এক মহাকাশযান। বয়স নয় নয় করে ৫২ তো হয়েছেই। কতদিনই বা আর কর্মক্ষম থাকে? কাজের দিন ফুরিয়েছে বুঝে মহাকাশযানকে ধ্বংসের পথে পাঠিয়েছিল রাশিয়া। অঙ্ক কষে বের করা হয়েছিল তার ‘মৃত্যু’র সময়ও। সেই হিসেব অক্ষরে অক্ষরে না মিললেও, মোটামোটি একটা সময় আন্দামান দ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়ল লঝঝড়ে সেই মহাকাশযান। খবর নিশ্চিত করেছে রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। তবে ধ্বংসের মুখে তা কোনও ক্ষতি করেনি বলেই দাবি মহাকাশ সংস্থার। সাগরের জলেই নিজেকে নিশ্চিহ্ন করেছে সে।
সেই সোভিয়েত আমলে তৈরি হয়েছিল কসমস ৪৮২ মহাকাশযানটি। সেটা ১৯৭২ সাল। প্রথমে শুক্র গ্রহ অভিযানের জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছিল। যানটির ওজন তখন ৫০০ কেজি। সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষার পর তাকে পাঠানো হয় শুকতারার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝপথে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সময়ের আগেই তার ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পৃথিবীর কক্ষপথেই সে আটকে যায়। এতদিন সেখানেই ছিল কসমস ৪৮২ স্পেসক্র্যাফট। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে আগাম জানিয়েছিলেন, আয়ু ফুরিয়েছে তার, ১০ মে অর্থাৎ শনিবার মস্কোর সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ভেঙে পড়তে পারে। ধ্বংসস্থল হবে আন্দানাম-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ৫৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের কাছে। যদিও আশঙ্কা ছিল, ভূমির উপর কসমস ৪৮২ ভেঙে পড়লে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে সেসব হিসেবকে মোটের উপর অক্ষত রেখে সোভিয়েত আমলের মহাকাশযানটি সাগরেই ভেঙে পড়েছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ লাগোয়া ভারত মহাসাগরে তার ধ্বংসাবশেষ বিলীন হয়েছে। এই খবর নিশ্চিত করেছে রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। বলা হয়েছে, কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়াই মহাকাশযান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আশপাশের এলাকা বা পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.