সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক দশক ধরেই উষ্ণায়নের (Global Warming) ভয়াবহ রূপের সাক্ষী হচ্ছে গোটা পৃথিবী। ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, তুষারপাত, খরার মুখে পড়ছে মানুষ। নয়া রিপোর্টে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানালেন, আগামী কয়েক দশকে ভারতের একাধিক জায়গায় মাত্রাছাড়া তাপপ্রবাহ দেখা দেবে। একই পরিস্থিতি হবে পাকিস্তানের (Pakistan) বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। রিপোর্টে দাবি, তাপমাত্রা সহনশীলতার মাত্রা ছাপিয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দুই দেশের প্রায় ২২০ কোটি মানুষ।
পাশ্চাত্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানুষের দেহ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্র সহ্য করতে পারে। আগামী কয়েক দশকে আবহাওয়ার বিপুল পরিবর্তন হবে। ভয়ংকর রূপ নেবে তাপমাত্রা। যা মানব দেহের সহ্য ক্ষমতার বাইরে। এর ফলে হুড়মুড় করে বাড়বে হিট স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক। পাশাপাশি উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কমে যাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। ভারত ও পাকিস্তানের বহু এলাকায় খরা দেখা দেবে। পরিস্থিতি এতখানি খারাপ হওয়ার কারণ কী?
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনই কারণ। দাবদাহের জন্য দায়ী নগর সভ্যতার দূষণ, গাছ কেটে নগরোন্নায়ন ও অত্যধিক তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিকিরণ। ২০২৪ সালে আবার এল নিনোর ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সব মিলিয়ে তাপমাত্রা কল্পনার বাইরে পৌঁছে যাবে। ফুটফাটা হবে মাটি, শুকিয়ে যাবে পুকুর-নদী-নালা। বিশ্বের একটা বড় অংশে হাহাকার পড়ে যাবে।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, প্রশান্ত মহাসাগরের চিলি ও পেরু উপকূল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলে তৈরি হওয়া ‘এল নিনো’র জেরে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে ভারতের বর্ষার মরসুমের উপরে। কমতে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে তাপপ্রবাহের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে মানুষের পক্ষে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যদি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় তবে ভারত, পাকিস্তান ও চিনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দুই দেশের প্রায় ২২০ কোটি মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.