সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দাপটে দীর্ঘ লকডাউন পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকাংশে। যার জেরে দূষণের অভিশাপকে কিছুটা রোধ করা গিয়েছে বলে হাতে-কলমে প্রমাণ মিলছে। গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের জল টলটলে স্বচ্ছ। আকাশে কালো ধোঁয়া প্রায় উধাও। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এরই মধ্যে আরেক আশঙ্কার কথা শোনাল পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল। মাসখানেক ধরে সুমেরু অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে তৈরি হয়েছে একটি বড়সড় ছিদ্র। যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় তাঁদের কাছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একদল বিজ্ঞানীর মতে, ওজোন স্তরে এত বড় মাপের ছিদ্র তৈরি হওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। আর এই ছিদ্র পৃথিবীর স্বাস্থ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। ওজোন স্তরের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (Ultra Violet ray) শোষণ করে, তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এখন মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে এমনতিই পাতলা হচ্ছে ওজোন স্তর। তার উপর আবার এত বড় ছিদ্র তৈরি হওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বাধাহীনভাবে পড়বে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের উপর। তার প্রভাব যে কী মারাত্মক হতে চলেছে, তা নিয়েই চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু কেন ওজোন স্তরে এই ক্ষত? বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, দূষণ কমতে থাকায় মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলে তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না। উষ্ণ আর শীতল বায়ুর সংঘাতে মেরু ঘূর্ণাবর্তও (Polar Vortex) কম। এই ঘূর্ণাবর্ত যত হয়, তত ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচতে ওজোন স্তরের বিস্তারও ঘটে। কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত না থাকলে, বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট স্তরে ওজোন গ্যাস থেকে যায়। ফলে তাকে ভেদ করা সহজ। এখন যা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার রেশ কতটা পড়বে পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর কিংবা এই ছিদ্র পরে কীভাবে মেরামত হবে, সেই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.