সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ড সরকারের বিরল সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ড দলের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তাঁকে এই সম্মানের যোগ্য বলে মনে করা হয়েছে, তার জন্য তিনি আপ্লুত। কিন্তু এ পুরস্কার নিতে চান না বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা তারকা। কারণ তাঁর দাবি, নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারের আসল দাবিদার তিনি নন। এটি পাওয়া উচিত কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে স্টোকসের ব্যাটেই প্রথমবার ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কিউয়িদের। ম্যাচ টাই হওয়ায় বাউন্ডারি কাউন্ট-এ চ্যাম্পিয়ন হয় ক্রিকেটের আবিষ্কর্তারাই। তারপরই নিউজিল্যান্ড সরকারের তরফে জানানো হয়, সেদেশে জন্মানো ইংলিশ তারকাকেই এই বিরল সম্মানে ভূষিত করা হবে। কিন্তু স্টোকস চান, পুরস্কারটি পাক উইলিয়ামসনই। তিনি বলেন, “এই সম্মানীয় পুরস্কারটা আমার নামের পাশে ঠিক যায় না। কারণ নিউজিল্যান্ডে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাঁরা এই পুরস্কারের বেশি যোগ্য। আমি ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছি। আমি এখন ব্রিটেনেরই বাসিন্দা।” এরপরই উইলিয়ামসনের প্রসঙ্গ টেনে স্টোকস বলেন, “উইলিয়ামসনকে কিউয়ি কিংবদন্তি হিসেবে সম্মান দেওয়া উচিত। টুর্নামেন্টের সেরাও হয়েছেন তিনি। গোটা বিশ্বকাপে দারুণ মানবিকতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। তাই এ পুরস্কার তাঁরই প্রাপ্য। আমার মনে হয়, নিউজিল্যান্ডবাসীও এই সিদ্ধান্তে খুশি হবে।”
১৯৯১ সালের ৪ জুন নিউজিল্যান্ডে জন্ম বেন স্টোকসের। জন্মের পরও বেশ কিছু বছর ক্রাইস্টচার্চেই ছিলেন স্টোকস। তাঁর বাবা জেরার্ড রাগবি লিগ কোচিং করাতে কামব্রিয়া চলে এলে তাঁর সঙ্গেই গোটা পরিবার ইংল্যান্ড পাড়ি দেয়। সেইসময় ১২ বছর বয়সেই ইংল্যান্ডে চলে আসেন বেন। কিন্তু পরে তাঁর বাবা-মা ক্রাইস্টচার্চে চলে আসেন। এখন তাঁরা সেখানেই থাকেন। ফাইনালের দিন ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়েই গলা ফাটান বেনের বাবা জেরার্ড। ছেলের এই মহানুভবতা মন ছুঁয়েছে তাঁরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.