প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ডামাডোলের উত্তর মিলেছে। সেটা হল হাইব্রিড মডেল। ভারতের চাপের কাছে কার্যত হার মেনেছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতেও তাদের দাবিদাওয়া ফুরোচ্ছে না। আবার প্রাক্তন পাক তারকা মনে করেন এই সমস্ত ডামাডোলে ফায়দা পেয়েছে পাক বোর্ড। সেখানে বিসিসিআই কোনও লাভই ঘরে তুলতে পারেনি।
কী সেই যুক্তি? পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ বলছেন, “আমার মতে পিসিবি খুব বুদ্ধির সঙ্গে পা ফেলেছে। বাড়াবাড়ি করে আইসিসি ও অন্য দেশের থেকে একঘরে হওয়ার ভুল করেনি। আর যে সমাধান বেরিয়েছে, তাতে পিসিবি আসলে বিসিসিআইয়ের থেকে বেশি ফায়দা তুলেছে।” কিন্তু তাঁর আশা পূরণ হয়নি। মিয়াঁদাদ ভেবেছিলেন, ভারত শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে খেলতে যেতে রাজি হবে। সেটা হয়নি। তবু তিনি মনে করেন, একটা স্পষ্ট বার্তা পাঠানো গিয়েছে।
মিয়াঁদাদের বক্তব্য, “পাকিস্তান বহুদিন পর একটা বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। আমরা একটা স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছি। যদি তুমি আমাদের দেশে খেলতে না আসো, তাহলে আমরাও ভারতে খেলতে যাব না।” কিন্তু ভারতের আপত্তির পরও কি পাকিস্তান আর কোনও আইসিসি ইভেন্ট পাবে? আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার মইন খান আশাবাদী। তিনি বলছেন, “যদি পিসিবি আরেকটা আইসিসি ইভেন্ট পায়, সেটা পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো হবে।”
বাস্তব ছবিটা কীরকম? ভারত যে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। সেটাই মানা হয়েছে। হাইব্রিড মডেলে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাক বোর্ডের দাবি ছিল ২০৩১ পর্যন্ত দুদেশের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম মানা হোক। তবে শেষে সুর নরম করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের দাবি মানতে রাজি হয়েছে বিসিসিআই। একই সঙ্গে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, মহিলাদের বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালে পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপ- এই তিন টুর্নামেন্টে কার্যকর হবে হাইব্রিড মডেল। ২০২৫ সালে মহিলাদের বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালে পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপ যথাক্রমে একক এবং যৌথভাবে আয়োজন করবে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের ম্যাচগুলি রাখতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.