অস্ট্রেলিয়া: ২৬৪ (স্মিথ ৭৩, কেরি ৬১, শামি ৩-৪৮)
ভারত: ২৬৭-৬ (কোহলি ৮৪, শ্রেয়স আইয়ার ৪৫)
ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসিসি টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া মানেই ভয়ংকর। আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউটে অস্ট্রেলিয়া মানেই বিভীষিকা। যে আতঙ্কের বলি ভারতকে হতে হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে। মঙ্গলবার টিম ইন্ডিয়ার সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল অজি জুজু টপকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠার। সেই সঙ্গে অভেদ্য অজি মিথ ভেঙে দেওয়ার। দুবাইয়ে একই সঙ্গে সেই জোড়া চ্যালেঞ্জে উতরে গেল টিম ইন্ডিয়া। ২০২৩ বিশ্বকাপে হারের মধুর বদলা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গেল রোহিত ব্রিগেড। ভারত জিতল ৪ উইকেটে। সৌজন্যে সেই বিরাট কোহলি। যাঁর ব্যাট অতীতেও বহু রূপকথা লিখেছে।
টার্গেট ২৬৫। দুবাইয়ে স্লো টার্নারে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। শুরুটাও বিশ্রী হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। ৩০ রানে প্রথম উইকেট। ৪৩ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিদায়। অতএব পাহাড়প্রমাণ চাপ। সেই চাপের মুখে আবারও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে লড়াই শুরু করলেন বিরাট। প্রথমে সঙ্গী শ্রেয়স আইয়ার। শ্রেয়স-কোহলির ৯০ রানের জুটি ম্যাচে ফেরাল ভারতকে। ৪৫ রানে শ্রেয়স আচমকাই আউট হয়ে গেলেন। তারপর আবার যখন জুটি বাঁধা একান্তই দরকার। এবার অক্ষরকে সঙ্গী করলেন বিরাট। ৪৪ রানের একটা দ্রুতগতির জুটি। এদিকে বিরাটের অর্ধশতরান পেরিয়েছে। অক্ষর আউট হওয়ার পর রাহুলকে নিয়ে ফের জুটি বাঁধেন তিনি। দলের স্কোর ২২৫ রান পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন তিনি। ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে কোহলি যখন ফিরলেন, তখন দলের জয়ে বিশেষ সংশয় ছিল না। বাকি কাজটুকু করে দিলেন কেএল রাহুল এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৬৪ রান তোলে। এদিন শুরুটা ভালো হয়নি অজিদের। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে তরুণ ওপেনার কুপারকে ফেরান শামি। কিন্তু প্রথম উইকেটের পরই সংহারক মূর্তি ধারণ করেন ট্র্যাভিস হেড। তবে হেড খুব বেশি ক্ষতি করার আগেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন বরুণ চক্রবর্তী। হেড ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হলেও ভারতের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় স্মিথ এবং লাবুশেনের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর যখন ১১০ রান, তখন লাবুশেনকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। ইংলিশকেও (১১) দ্রুত তুলে নেন জাড্ডু। এদিকে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন স্মিথ। এরপর কেরিকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়ানো শুরু করেন তিনি। ৭৩ রানে স্মিথ যখন আউট হলেন, তখন অজিদের স্কোর ৫ উইকেটে ১৯৮ রান। এরপর ম্যাক্সওয়েলকেও দ্রুত ফিরিয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল। ম্যাক্সওয়েল, স্মিথরা আউট হওয়ায় রানের গতি কিছুটা কমে। তবে অ্যালেক্স কেরি এক প্রান্ত থেকে লড়াই চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ৬১ রান করে রান আউট হন তিনি। কেরির ওই ইনিংসই আড়াইশোর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় অজিদের। কেরি আউট হওয়ার পর অবশ্য খুব বেশি রান তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ইনিংস শেষ হয় ৪৯ ওভার ৩ বলে ২৬৪ রানে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নক-আউটের মতো ম্যাচে এই রানটা তোলা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বিশেষ বেগ পেতে হল না টিম ইন্ডিয়াকে। ভারতের এই জয়ের কারিগর অবশ্যই বিরাট কোহলি। তবে মহম্মদ শামি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজাদের অবদানও উপেক্ষা করা যায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.