সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কটের ডাক খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রীর। এর আগে রশিদ খানদের বিরুদ্ধে না খেলার ডাক উঠেছিল ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে। তালিবানি রাজত্বে মহিলা ও শিশুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে সরব হয়ে একই প্রস্তাব দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী গেটন ম্যাকেঞ্জি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘বি’ গ্রুপে আছে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে দুদলের ম্যাচ। কিন্তু এবার সেই ম্যাচ নিয়েও দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনাল। তালিবানি আফগানিস্তানে মহিলাদের স্বাধীনতা না থাকায় সেই ম্যাচ বয়কটের ডাক দিলেন ম্যাকেঞ্জি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক দুঃখজনক ঘটনা দেখেও আমার মনে হয়, তাদের বয়কট করা উচিত। আমজনতার সমর্থনও আমার সঙ্গে আছে।”
সেই প্রসঙ্গে তিনি আইসিসি-কেও তাদের নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। ম্যাকেঞ্জি বলেন, “আমি জানি যে আইসিসি-র নিজস্ব কিছু নীতি আছে। তারাও চায় না খেলাধুলোর জগতে রাজনীতির প্রবেশ ঘটুক।” যদিও তিনি জানেন যে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁর নেই। কিন্তু থাকলে ম্যাকেঞ্জি ম্যাচ বয়কট করতেন। তিনি বলেন, “ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে কি খেলবে না, সেটা পুরোপুরি আমার হাতে নেই। কিন্তু এটা যদি আমার সিদ্ধান্ত হত, তাহলে আমরা যে আফগানদের বিরুদ্ধে খেলতাম না, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ বয়কট করার দাবিতে সরব হয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। সে দেশের সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে ১৬০ জন সাংসদ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নারাজ। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন জারি হয়। তারপর থেকে সেদেশে মহিলাদের স্বাধীনতা ও অধিকার খর্ব হওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে অস্ট্রেলিয়াও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। ‘বি’ গ্রুপে অজিরাও রয়েছে। এবার তারাও বয়কটের ডাক দিলে প্রবল চাপে পড়বেন রশিদ খানরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.