সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দাপটে দেশে অক্সিজেন, ওষুধের হাহাকার। অন্যান্য রাজ্যের মতো রাজধানী দিল্লির ছবিটাও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বুধবারই যেমন সেখানে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৬৮ জনের প্রাণ গিয়েছে মারণ ভাইরাসে। আর এরই মধ্যে মরণাপন্ন বাবার প্রাণ বাঁচানোর জন্য একটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত তা সোজা চলে গেল চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) সদস্যের কাছে!
অবাক করার মতোই ঘটনা। আনোয়ার নামে এক ব্যক্তির বাবার হঠাৎই অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে দেখে চিন্তায় পড়ে যান আনোয়ার। যা পরিস্থিতি, তাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করাও বেশ কঠিন। তাই একটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর (Oxygen Concentrator) জোগাড় করে তা বাবার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। আকাশপথে বেঙ্গালুরু থেকে কনসেন্ট্রেটরটি দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিলেন আনোয়ার। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। বিমানবন্দরে পৌঁছে আনোয়ার দেখেন, ব্যাগেজ বেল্টে তাঁর কনসেন্ট্রেটরটি নেই। চিন্তায় পড়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, তাঁর কনসেন্ট্রেটর কোথায় গেল? আনোয়ারের জিনিস হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন বন্দর কর্মীরাও। কিন্তু কিছুতেই হদিশ মেলে না কনসেন্ট্রেটরের। এদিকে, বাবার অবস্থা ক্রমেই ক্রিটিক্যাল হতে থাকে।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর জানা যায়, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর চলে গিয়েছে সিএসকে দলের এক সদস্যের কাছে। একই বিমানে ছিল তাঁর লাগেজও। ভুলবশত সেই সদস্যই নাকি আনোয়ারের ব্যাগেজটি কালেক্ট করে ফেলেছিলেন। আর তাতেই ঘটে এত বড় বিপত্তি।
আইপিএলে এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটার ও স্টাফদের জন্য সাধারণত চার্টার্ড ফ্লাইটেরই ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু করোনা কালে (Corona virus) কমার্শিয়াল বিমানে ক্রিকেটারদের জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। আর নিজের জিনিস নিতে গিয়েই দুর্ঘটনাবশত অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পৌঁছে যায় সিএসকে শিবিরে। ফলে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর নিজের জিনিস হাতে পান আনোয়ার। তারপর তা হাসপাতালে পাঠান বাবার কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.