সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত মুম্বইয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার মিলিন্দ রেগে। বয়স হয়েছিল ৭৬। মাত্র কয়েকদিন আগেই জন্মদিন ছিল তাঁর। মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক, অলরাউন্ডার মিলিন্দ ছিলেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানও। সামলেছিলেন মেন্টরের দায়িত্বও। সুনীল গাভাসকরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি।
পুরো নাম মিলিন্দ দত্তাত্রেয় রেগে। খুব অল্প বয়সেই বম্বে (তখন এই নামেই ডাকা হত শহরটিকে) ক্রিকেট দলে সুযোগ পান। ১৯৬৭-৬৮ থেকে ১৯৭৭-৭৮ পর্যন্ত খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। বম্বের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। সাতের দশকের মাঝামাঝি সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলিন্দ। কিন্তু সুস্থ হয়ে ফের মাঠে ফেরেন তিনি। ১৯৭৭-৭৮ মরশুমে মুম্বই ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ‘কামব্যাক’ সাড়া ফেলেছিল সেই সময়। যদিও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেবারই প্রথম মুম্বই নকআউট পর্বে যেতে পারেনি। মিলিন্দের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কেরিয়ারও সেখানেই শেষ হয়। ৫২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১২৬টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৫৩২ রানও করেছিলেন তিনি। তাঁর আমলেই মুম্বই টানা ১৩টি মরশুমে রনজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
তবে ক্রিকেটার হিসেবে অবসরের পরও সবুজ মাঠের সংস্পর্শ ত্যাগ করেননি তিনি। মুম্বই ক্রিকেটে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। দুদশক মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বহু সাবকমিটির সদস্য ছিলেন মিলিন্দ। ২০১১ সালে হয়েছিলেন নির্বাচকদের চেয়ারম্যান। ২০১২ সালে অবসর নেওয়ার পরও তাঁকে চার সদস্যের প্যানেলে রেখে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে ফের তিনি চেয়ারম্যান হন। এরই সঙ্গে টাটা স্পোর্টস ক্লাবের সম্পাদকের পরও মিলিন্দ সামলেছেন দু’দশকেরও বেশি সময়।
মিলিন্দের সহপাঠী ছিলেন সুনীল গাভাসকর। পরবর্তী সময়েও তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। জানা যায়, ছাত্রজীবনে তাঁর পরামর্শেই ওপেনিং ব্যাটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আরেক কিংবদন্তি, শচীন তেণ্ডুলকরের ক্রিকেটজীবনের সঙ্গেও যোগ রয়েছে মিলিন্দের। বিস্ময় কিশোর শচীনকে রনজি দলে ঢোকাতে নির্বাচক হিসেবে গলা ফাটিয়েছিলেন মিলিন্দ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.