Advertisement
Advertisement
Gautam Gambhir

‘পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ভাবেই ক্রিকেট নয়’, যুদ্ধের আবহে সরব গম্ভীর

পহেলগাঁওয়ে হামলার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন গম্ভীর।

Gautam Gambhir said no need to maintain any relationship with Pakistan

ফাইল ছবি।

Published by: Arpan Das
  • Posted:May 7, 2025 10:32 am
  • Updated:May 7, 2025 11:49 am  

স্টাফ রিপোর্টার : পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যুর জেরে অনেকটাই অবনতি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের। প্রায় সমস্ত ধরনের যোগাযোগই কার্যত বন্ধ হতে বসেছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে। যার মধ্যে অন্যতম হল ক্রিকেট। এর মধ্যে পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। যার নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অবশ্য ভারতীয় সেনার আক্রমণের আগেই প্রতিবেশীদের পুরোপুরি বয়কটের পক্ষে সওয়াল করলেন জাতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এমনিতে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখন আর হয় না। শুধু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে হয় ভারত-পাক ম্যাচ।

পহেলগাঁওয়ে হামলার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন গম্ভীর। প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছিলেন বিশ্বজয়ী এই ক্রিকেটার। এবার এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। জাতীয় দলের হেডস্যরের কথায়, “ব্যক্তিগতভাবে আমার মত, কোনও সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন নেই। অন্তত যতদিন না ওরা সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করছে, ততদিন দু’দেশের মধ্যে সবকিছুই বন্ধ থাকুক। আমি আগেও একথা বলেছি। ক্রিকেট, বলিউড বা অন্য কোনও কিছুই ভারতীয় সেনা বা সাধারণ মানুষের প্রাণের থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ম্যাচ পরেও হতে পারে, সিনেমা পরেও তৈরি করা যেতে পারে, গায়করাও পরে পারফর্ম করতে পারবেন। কিন্তু প্রিয়জনকে হারানোর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না।” চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান যায়নি গম্ভীরের ভারত। পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার আগে ভারত, পাকিস্তান এবং আইসিসি-র মধ্যে একটি সমঝোতাও হয়েছে। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৭ পর্যন্ত এই দুই প্রতিবেশী একে অপরের দেশে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার ম্যাচ খেলতে যাবে না। তাদের ম্যাচ হবে কোনও নিরপেক্ষ দেশে।

Advertisement

গম্ভীর অবশ্য ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি সরকারের উপরেই ছাড়ছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা খেলব কি না, সেই সিদ্ধান্ত সরকারই নেবে। সেটা আমি ঠিক করতে পারি না। পারে বিসিসিআই। এবং সরকার। ওরাই ঠিক করুক আমরা খেলব কি না। একইসঙ্গে, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা নিয়ে যেন কোনওরকম রাজনীতি না হয়।” ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ দু’দশের মধ্যে। এরপর ২০১২ সালে সাদা বলের একটি ছোট সিরিজ খেলতে ভারতে আসে পাকিস্তান। তারপর আর আইসিসি বা এসিসি-র প্রতিযোগিতা ছাড়া মুখোমুখি হয়নি দুই প্রতিবেশী। অবশ্য এই ম্যাচের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে এখন সব প্রতিযোগিতাতেই এই দুই দেশকে একই গ্রুপে রাখা হয়। তবে এবার তা বন্ধ করতে ভারত উদ্যোগী হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতকে একই গ্রুপে না রাখার জন্য আইসিসি-কে চিঠি পাঠিয়েছে বিসিসিআই। তবে নকআউটে দু’দল মুখোমুখি হলে কী হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

আইপিএলের পরই ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে যাবে টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়া সফরের পারফরম্যান্সের পর দুই সিনিয়র রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির সেই দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি গম্ভীর। জাতীয় কোচের দাবি, রোহিক-বিরাট নিয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচকরা নেবেন এবং তিনি নির্বাচক নন। সঙ্গে জুড়েছেন, “যতদিন ওরা পারফর্ম করবে, জাতীয় দলে থাকবে। কবে অবসর নেবে, সেটা ওদের বিষয়। কোচ, নির্বাচক বা বোর্ড এই বিষয়ে কিছু বলতে পারে না। কেউ যদি ৪০-৪৫ বছর বয়সেও ভালো খেলে, কে থামাবে?”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement