সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট বিরাট-রোহিত জমানায় ইতি। পুরনোদের মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও অবসর নিয়েছেন। মহম্মদ শামির ফিটনেস নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে, অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে এই প্রজন্মের তারকা শুভমান গিলকে। তরুণ অধিনায়ক। কোচ গম্ভীরও চাইছেন এবার তারুণ্যে জোর দিতে। স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ড সফরে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিতে পারে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে কেমন হতে পারে ইংল্যান্ড সফরের সম্ভাব্য ভারতীয় দল। চলুন খুঁজে দেখা যাক।
শুভমান গিল: রোহিত পরবর্তী জমানায় তিনিই সম্ভবত অধিনায়ক হবেন। ইংল্যান্ড সফরে কীভাবে অনভিজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন, সেটাই দেখার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজে তিনি ৩ বা ৪ নম্বরে খেলতে পারেন।
যশস্বী জয়সওয়াল: ওপেনার হিসাবে ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন তিনি। বস্তুত গিলের পাশে যাকে আগামী দিনের মহাতারকা হিসাবে ধরা হচ্ছে, তিনি জয়সওয়াল।
কেএল রাহুল: বিরাট-রোহিতহীন ব্যাটিং বিভাগের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং নির্ভরশীল মুখ। অতীতে ইংল্যান্ডে সফল হয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে ওপেনার হিসাবে খেলানো হয় নাকি চার নম্বরে ব্যাট করানো হয়, সেটাই দেখার।
সাই সুদর্শন/করুণ নায়ার: দুজনেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে। টেকনিকের দিক থেকে দুজনেই প্রথম সারির। ইংল্যান্ডের বিমানে দুজনেরই ওঠার সম্ভাবনা আছে। অন্তত যে কোনও একজন সুযোগ পাবেন। করুণ নায়ারের পক্ষে যে ফ্যাক্টর যাচ্ছে সেটা হল তাঁর অভিজ্ঞতা। আর সাই সুদর্শনের পক্ষে যাচ্ছে অধিনায়ক গিলের ভোট।
শ্রেয়স আইয়ার: বেশ কিছুদিন টেস্ট দলের বাইরে থাকলেও জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর রেকর্ড খারাপ নয়। তাছাড়া সাম্প্রতিক ফর্ম দুর্দান্ত। বিরাটের অনুপস্থিতিতে তাঁর দলে সুযোগ পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
ঋষভ পন্থ: ভারতীয় টেস্ট দলের অন্যতম সেরা তারকা। তিনি পাঁচ বা ছ’নম্বরে খেলবেন। তবে ইদানিং ফর্ম ভালো নেই ঋষভের। তবে ইংল্যান্ডে তাঁকে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
ধ্রুব জুরেল: পন্থের বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসাবে অন্যদের থেকে এগিয়ে ধ্রুব জুরেলই।
রবীন্দ্র জাদেজা: গিলের তরুণ দলে তিনিই সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য। ইংল্যান্ডে একমাত্র স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে তাঁর খেলার সম্ভাবনা বেশি। তবে তাঁকে লড়তে হবে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে।
অক্ষর প্যাটেল: দুর্দান্ত ফর্মে। অশ্বিনের অবসরের পর তাঁর টেস্ট দলে ঢোকার সম্ভাবনা বেশি। তবে প্রথম একাদশে ঢুকতে তাঁকে লড়তে হবে জাদেজার বিরুদ্ধে।
নীতীশ রেড্ডি: অস্ট্রেলিয়া সফরে অভিষেকের পর বেশ নজর কেড়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড সফরে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে সুযোগ পেতে পারেন। তবে তাঁর বোলিং নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
শার্দূল ঠাকুর: পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে দলে কামব্যাক হতে পারে শার্দূল ঠাকুরের। ইংল্যান্ডের সুইং সহায়ক পিচে বেশ উপযোগী হতে পারেন তিনি।
জশপ্রীত বুমরাহ: বুমরাহকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। ভারতের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। তবে তিনি কতটা ফিট থাকছেন, সেটা বড় প্রশ্ন।
মহম্মদ সিরাজ: আইপিএলে ছন্দে রয়েছেন সিরাজ। খেলছেন গিলের দলেই। দলে ঢুকতে শামির সঙ্গে লড়তে হবে তাঁকে। সম্ভবত লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ/আকাশদীপ: আইপিএলে ভাল ছন্দে রয়েছেন প্রসিদ্ধ। তাঁর উচ্চতা ও গতি ইংল্যান্ডে বড় অস্ত্র হতে পারে ভারতের। আবার আকাশদীপও জাতীয় দলে খারাপ খেলেননি। তবে দুজনের যে কোনও একজন সুযোগ পাবেন ভারতীয় দলে।
অর্শদীপ সিং: দীর্ঘদিন ভারতের জাতীয় টেস্ট দলে কোনও বাঁহাতি পেসার নিয়মিত খেলছেন না। শুভমান গিল সম্ভবত একজন বাঁহাতি পেসারকে দলে চাইছেন। সেক্ষেত্রে বাকিদের থেকে এগিয়ে অর্শদীপ সিং। এর বাইরেও মহম্মদ শামি, সরফরাজ খান, অভিমন্যু ইশ্বরণদের কথা ভাবা হতে পারে জাতীয় দলের জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.